পাতা:ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা - সঞ্জীব দেবলস্কর (২০২৩).pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা
৩৯

আধুনিক হরফে এর বয়ান, সঙ্গে নিজস্ব ভাষ্য নিয়ে গ্রন্থটি প্রকাশ করেছেন ‘গৌহাটি বঙ্গসাহিত্যানুশীলনী সভা’র পক্ষ থেকে।

 নিমাতা মামলায় এ গ্রন্থের নথিগুলো প্রদর্শন করা যাবে কি? বিদ্যাবিনোদ কথা দিয়েছিলেন যে কাজ শেষ হয়ে গেলে মূল নথিগুলো ফিরিয়ে দেবেন। কিন্তু এত ধকলের পর নথিগুলো কী অবস্থায় আছে তাও ভাবনার বিষয়। দেখি, একবার কামিনীকুমার চন্দ মহাশয়ের সঙ্গে কি পরামর্শ করা যেতে পারে?

 ওদিকে কলিকাতা হাইকোর্টের কৌসুলি মান্যবর শ্রী তারাকিশোর চৌধুরী মশাই নিমাতা মামলার জন্য কিছু পারিবারিক নথি দেখতে চেয়েছেন। কিন্তু কিছু পারিবারিক শ্রুতি, গ্রামের প্রাচীনদের মুখে কিছু কাহিনি ছাড়া আর কোনও লিখিত প্রামাণিক তথ্য যা আদালতে গ্রাহ্য হবে তা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাদীপক্ষ মামলাটি সাজিয়েছে একেবারে ভিন্নতর ইতিহাসের উপর। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বংশের আদিপুরুষ মণিরামের বিপরীতে চান্দ খাঁ বলে পাটনি সম্প্রদায়ের এক কল্পিত পুরুষকে উপস্থাপন করেছে। এতদিন উর্ধ্বতন চতুর্থ পুরুষ মণিরামকে এ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ধরা হত। কিন্তু মামলায় দেখা গেল এ তথ্যকে একেবারে নস্যাৎ করে দেওয়ার প্রয়াস। এ অঞ্চলে পাটনি সম্প্রদায়ে কারও উপাধি খাঁ, এরকম কথা কেউ তো শুনেনি। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বিপিনচন্দ্র অসহায়ের মতো পারিবারিক নথিপত্র খুঁজে খুঁজে হায়রান। নায়েবমশাই বাঁশের চুঙির ভিতর গোল করে পাকানো একটার পর একটা দলিল বের করেই চলেছেন। মহামহিম সপ্তম জর্জ, মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘জিলে কাছাড়’ সিলমোহর দেওয়া ‘লিখিতমিদং কার্জঞ্চ’ ইত্যাদি পাঠসম্বলিত জমিবন্দোবস্ত, চিঠা, নকশা, পাট্টা, খাজনার নোটিশ, তুলোট কাগজের উপর হাতে লেখা বন্দোবস্তনামা দেখেই যাচ্ছেন। কিন্তু নিমাতা সংক্রান্ত কোনও নথি নেই। যে-উজির কমলচরণের বসতবাটিতেই দেবী মন্দিরের অবস্থিতি, এরও