সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন করছেন এবং পাশে বসা মুহুরিকে নোট নিতে নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন।
—আচ্ছা, বলুন তো, যে প্রচলিত কাহিনির বয়ান আপনি লিখে পাঠিয়েছেন এটাকে অবিশ্বাস করার কোনও সঙ্গত কারণ আপনার নিজের মনে কি আসছে? স্বপ্নদর্শনের ব্যাপারটি অবশ্য স্বাভাবিকভাবে আদালতে গ্রাহ্য হতে পারে না যদি না এর মধ্যে বাস্তবতার কোনও সংকেতসূত্র থাকে। আমাদের এই সংকেতসূত্রটি খুঁজে বের করা চাই। দেখা যাক দেবীর কী ইচ্ছা।
এবার রায়বাহাদুরের কপালে দেখা দিল চিন্তার রেখা।
—আজ্ঞে, এখানে মণিরামের স্বপ্নদর্শনের সঙ্গে যে মহারাজ হরিশ্চন্দ্রের স্বপ্ন...।
—ও হ্যাঁ, দুইটি স্বপ্নের সংঘাত। এরকম স্বপ্নের কাহিনি আরও বহুক্ষেত্রেই পাওয়া গেছে। আর ওই শ্বেত হস্তী উদ্ধারের ব্যাপারটা হৃতরাজ্য ফিরে পাবার প্রতীকীও হতে পারে। আমি খতিয়ে দেখছি এই স্বপ্ন দেখাটা কার বেশি জরুরি ছিল—রাজা না উজির মণিরামের? বিশেষ করে ওই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। এর পরই ঘটনার সত্যাসত্য নির্ধারণের প্রশ্ন।
তারাকিশোরবাবু উঠে দাঁড়িয়ে ঘরময় পায়চারি করতে করতে বলছেন,
—স্বপ্নলব্ধ মহৌষধ, স্বপ্নলব্ধ মহামন্ত্র, স্বপ্নলব্ধ তাবিজ। বলুন তো এ সব স্বপ্ন কারা দেখে? আমি আপনি, সাধারণ সংসারী মানুষ তো ওসব দেখে না। যাঁর প্রয়োজন, সে-ই দেখে।
আবার চেয়ারে এসে বসে শুরু করলেন,
—কোনও কবিরাজ, ওঝা ছাড়া কোনও রাজমিস্ত্রি কি স্বপ্ন দেখে কোনও মহৌষধের সন্ধান পেতে পারে বা পেয়েছে? দাঁড়ান, স্বপ্ন দেখার দলে যে বৈজ্ঞানিকও আছেন। তবে বলি জর্মান বিজ্ঞানী অগাস্ট কেকুলে ভিন্ন অন্য কেউ তো আর Chemical structure-এর ফর্মুলা স্বপ্নে পেতে