পারেন না। বাস্তবিক কথাটি হল, তিনি নিজ অধ্যবসায়েই এ ফর্মুলাকে আয়ত্বে আনার কাজ শেষ করে এনে রেখেছেন। এখানে স্বপ্ন আসলে স্বপ্ন নয়, জাগরণেরই একটি স্তর মাত্র। তবে এ বিষয়টি আরেক জর্মান মনীষী সিগমণ্ড ফ্রয়েড সাহেবের এক্তিয়ারে। আমার নয়।
এতগুলো কথা এক নাগাড়ে বলে কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকলেন তারাকিশোরবাবু।
—আমরা আগামী শনিবার কি এ নিয়ে আরেকবার বসতে পারি? আপনি তো যা বলার বলেছেন, যা জানাবার জানিয়েছেন, যা দেবার জমা দিয়েছেন । এখন ভাবনা বলুন, দুর্ভাবনা বলুন সব আমার। দুটো দিন আপনি বিশ্রাম নিন, একটু ঘুরে ফিরে কলিকাতা মহানগরীকে দেখে যান।
তিনদিন পর আইনজীবীর বৈঠকখানায় দু'জনের সাক্ষাৎকার। আজ তারাকিশোরবাবু পদ্মনাথ বিদ্যাবিনোদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
—দণ্ডবিধি বইখানাই তো আপনাকে এগিয়ে দিল মশাই। যে দু’খানা সনন্দ আছে এতে—।
—কিন্তু মূল নথি যে আনতে পারছি না, আপাতত হাতের নাগালের বাইরে। পদ্মনাথবাবুর কাছে রয়ে গেছে।
—আরে রাখুন তো মশাই, সর্বজনমান্য ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ববিদের Introduction, সঙ্গে একাধিক সুস্পষ্ট দৃষ্টিগ্রাহ্য ফটোগ্রাফ, মূল টেক্সট এবং পরিশিষ্ট নিয়ে সুসম্পাদিত এ গ্রন্থের প্রকাশক, মুদ্রক, পরিবেশক— সবারই গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত।
বেশ প্রত্যয়ের সঙ্গে তারাকিশোরবাবু বলেন,
—আমার আর কিছুর প্রয়োজন নেই। অনেকদিন পর একটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষর সঙ্গে লড়াইতে নামছি। অবশ্য প্রতিপক্ষ প্রথম চালেই কুপোকাত হবে।
তিনি বিপিনবাবুর দিকে তাকিয়ে বললেন,