পাতা:ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা - সঞ্জীব দেবলস্কর (২০২৩).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা
৬৩

আনন্দের সঙ্গে নায়েবমশাইকে বলতেই তিনি মনে করিয়ে দিলেন, কয়েক দিন আগে শিলচরের মাননীয় কামিনী চন্দ এবং অবন্তীনাথ দত্ত মহোদয়ের যৌথ স্বাক্ষরিত একটি পত্রের উত্তর দেওয়া হয়নি। এতেও তো এই সাহিত্য সম্মিলনীর কথাই ছিল।

 —আমি কাল সকালেই দুটো চিঠির উত্তর লিখব। আপনি ভালো কাগজ বের করে রাখুন। আর পরবর্তী যে দিন জেলা সদরে যাওয়া হবে সেদিন তাঁদের কথামতো পঞ্চাশ টাকা অভ্যর্থনা সমিতির তহবিলে জমা দিতে হবে, কথাটা মনে রাখবেন। ছিল।

 আসলে ওই চিঠিতে সম্মিলনীর অভ্যর্থনা সমিতির সদস্য হবার আহ্বান ছিল।

 আজকাল কামিনীকুমার চন্দ মহাশয়ের বহুধাবিস্তৃত কার্যসূচির চাপে কোর্টে যাওয়াটা হয়ে পড়েছে অনিয়মিত। মিউনিসিপ্যালিটির ভাইস চেয়ারম্যান, কাছাড় জেলা কংগ্রেসের সভাপতি এই দুটো দপ্তরের যতটা কাজ বাড়িতে সম্ভব হতে পারে বাড়িতেই আনিয়ে নেন। এখন এসে জুড়েছে ‘সুরমা সাহিত্য সম্মিলনী’র কাজ। বাড়ির বৈঠকখানাই এখন তাঁর প্রধান দপ্তর। সকালে প্রাতরাশ সেরে এখানেই বসে থাকেন। বিপিনবাবু উপস্থিত হতে না হতেই হাজির হলেন মহেশচন্দ্র দত্ত, খবর পাঠানো হল নর্মাল স্কুলের জগন্নাথ দেব মহাশয়কেও। তৎক্ষণাৎই একটি সংক্ষিপ্ত সভা হয়ে গেল। কোষাধ্যক্ষ সারদা নন্দী কোথা থেকে খবর পেয়ে হাজির হতেই সবাই উচ্চকণ্ঠে হেসে উঠলেন। বিপিনবাবুর ইশারায় নায়েব কাপড়ের থলে থেকে টাকা বের করতেই আরেকবার হাসির রোল। রসিদটি হাতে নিতে নিতে বিপিনবাবু বললেন,

 —এর পর নিশ্চয়ই আরও কিঞ্চিৎ সহায়তা করার সুযোগ থেকে ও বঞ্চিত করবেন না।

 অবশ্য হেড়ম্বমন্ত্রী বংশজ উদার স্বভাব এ সুপুরুষ রায়বাহাদুর মশাই