সহ-সম্পাদক হেমচন্দ্র দত্ত ও মহেন্দ্রনাথ চৌধুরী। হরসুন্দর সাংখ্যরত্ন মহাশয়ের স্বস্তিবচনের পর ‘ইণ্ডিয়া ক্লাবে’র যুবকদের সমবেত কণ্ঠে উচ্চারিত উদ্বোধনী সংগীত সারা সভাকক্ষে এক অপূর্ব আবেগ সঞ্চারিত করল—
প্রণমি তব চরণে অয়ি কল্যাণময়ী সুরমা
দীননন্দন-ভকতি-বন্দন কুসুম-চন্দনধর মা॥
সভাগৃহ উল্লাসে ফেটে পড়ল পরবর্তী পদ উচ্চারিত হলে—
নয়নবিমোহনজলদচুম্বিত
নীলনগরাজিপ্রান্তবিভূষিত
অরুণকিরণে শ্যামলবসনে
সেজেছে সুন্দরী পরমা॥
শ্রোতার আসনে বসা বিপিনচন্দ্রের হঠাৎ মনে হল এ গায়কদের দলে আরেকটি কণ্ঠ যুক্ত হলে কেমন হত? তাঁর অনুজ যতির কণ্ঠ তো সবাইকে ছাপিয়ে ছাপিয়ে যেত। সে এখন কোথায়? বড়দিনের বন্ধে বাড়ি চলে গেছে কি? এ সমস্ত কর্মযজ্ঞে সামিল হওয়া তো তাঁরই কাজ।
কামিনীবাবুর অভিভাষণের পর সম্পাদক অবন্তী দত্ত সম্মেলনে প্রেরিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রেরিত শুভেচ্ছাবাণী পাঠ করলেন। বিপিনচন্দ্রের কানে গেল একটা নাম, অচ্যুতচরণ চৌধুরী। মৈনা গ্রাম নিবাসী এ তত্ত্বনিধির সঙ্গে তো তাঁর দেখা হয়েছিল, পত্র মারফত কিছু নথির সন্ধানও করেছিলেন তিনি।
সভার প্রাথমিক কার্যাবলি কিঞ্চিৎ দীর্ঘায়ত হওয়ায় সবারই ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে। ইতিমধ্যেই পদ্মনাথ বিদ্যাবিনোদকে কুসুমমাল্যে ভূষিত করে অধিবেশন সভাপতি পদে বৃত করা হয়ে গেছে। মূল অনুষ্ঠান শুরু হবার আগে মহাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতেশ্বর মহামহিম সম্রাটের বিজয় কামনা করে এবং তৎসঙ্গে মহাযুদ্ধে প্রয়াত রাজপরিবারের সন্তান লেফট্নেণ্ট হার্ডিঞ্জের প্রতি