পাতা:ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা - সঞ্জীব দেবলস্কর (২০২৩).pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠীতৎপুরুষনামা
৭১

জার্মান শক্তির প্রতি কিছুটা কটাক্ষও করেন, শিল্প বিজ্ঞান দর্শনে এত অগ্রগতি সত্ত্বেও এ জাতির ধর্মবোধ নাশ হয়ে গেছে এবং তাই হিংসার দাবানলে এরা বিশ্বকে অশান্ত করে তুলছে। অবশেষে তিনি আশার বাণী শোনালেন,

 —আমাদের রাজার জাতি এই মহাসমরে ধর্মের পক্ষ অবলম্বন করিয়াছেন।

 রায়বাহাদুরের কাছে ব্যাপারটি স্পষ্ট হল, ভারতবর্ষও এই মহাসমরে জড়িত হয়ে গেছে। এটা ভালো কি মন্দ ভাবার কি আর কোন অবকাশ আছে—এ চিন্তা মনে জাগতে না জাগতেই পদ্মনাথের দৃপ্ত উচ্চারণ,

 —আমাদের রাজার জয় হউক, ধর্মের জয় হউক, পৃথিবীতে ধর্মের অভ্যুদয় হোক।

 ভাষণ শেষ। সভাগৃহ নিস্তব্ধ। শীতের দমকা হাওয়া এসে সন্ধ্যার আবহাওয়াকে ভারী করে তুলল। শ্রোতারা নিঃশব্দে বহির্গমনের দিকে এগিয়ে চললেন।

১৮

দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার অধিবেশন কক্ষ সকাল দশটাতেই জনাকীর্ণ। একদিকে প্রবন্ধ পাঠ, সাহিত্য আলোচনার সঙ্গে আরেক দিকে বিষয়-নির্বাচনী সভা ও শুরু হয়ে গেল। অম্বিকাচরণ দেব, মফিজুর রহমান, বিপিনচন্দ্র, নন্দলাল বর্মনও ধীরে ধীরে ওই ঘরে গিয়ে আসন নিলেন। ইতিমধ্যে এদিকে সাংগঠনিক প্রস্তাবের পালা শেষ হতেই শুরু হল অন্যান্য বিষয়ের প্রস্তাব কাছাড়ের প্রতিনিধি হিসেবে বিপিনচন্দ্রকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হল। তিনি শ্রোতাদের ধৈর্যচ্যুতি না ঘটিয়েই বিদ্যাবিনোদের অভিভাষণে কাছাড়ের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর উল্লেখের জন্য সভাপতির প্রতি কাছাড়বাসীর হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ইতিমধ্যে সরকার কর্তৃক খাসপুর রাজবাড়ি,