সবই কপাল। সেদিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যতি সম্বন্ধে নিজেই বলেছেন,
—He appears to me a bright chap। আরেক দিন নিয়ে আসুন আমার বাংলোয়। We need this type of young man as our Mauzadar। তরুণ যতীন্দ্রের কাজের আর শেষ নেই। রায়বাহাদুর অবশেষে ভাবলেন, ঠিক আছে বাড়িতে থাকুক, স্বদেশিই করুক, সে সঙ্গে জমিদারিটাও যদি দেখে তবে কোন দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কনিষ্ঠ যামিনীকে পাঠানো হয়েছে কলিকাতায় হোমিওপ্যাথ কলেজে, সিলেট এমসি কলেজে গেল সত্যেন্দ্র, আর সৌখিন, মেজাজি সন্তান শশীকুমারকে পাঠানো হল ডিব্রুগড় ব্যারিহোয়াইট স্কুলে ডাক্তারি পড়তে।
২০
প্রতি গ্রামে স্বদেশি কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে। কনিষ্ঠ ভ্রাতার নেতৃত্বের মানুষের আস্থা আছে এটা লক্ষ করে রায়বাহাদুর ভেতরে ভেতরে খুশি হলেও বাইরে প্রকাশ নেই। আক্ষেপ একটা তো আছেই, এত প্রতিশ্রুতিবান ভাইটা জেনেবুঝে এই অনিশ্চিতির পথে পা বাড়াল। চরকা, গুপ্ত বৈঠক, পদযাত্রা, সংগীত নাটক এমনকী ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও স্বদেশিয়ানার প্রচার নিয়ে যতি একেবারে মত্ত। ওদিকে কলিকাতা থেকে যামিনী শিখে এসেছে নতুন নাট্যকলা। কিনে এনেছে মঞ্চনাটকের সাজসরঞ্জাম, দৃশ্যপট। দুর্গাপূজার অষ্টমী আর নবমীতে বিপিনচন্দ্রকে ডেকে নিয়ে বসানো হয়েছে দর্শকাসনে। ‘বঙ্গেবর্গী’, ‘সিরাজউদ্দোল্লা’ নাটকের ভেতর যে আরেকটি নাটক চলছে তা আর বুঝতে বাকি নেই কারও। ইণ্ডিয়ান থিয়েটার দেখতে আসা চা বাগানের সাহেবরাও দর্শকাসনে বসে মুচকি হাসেন। কথায় কথায় বিদেশিদের প্রতি এত প্রচ্ছন্ন আক্রোশ দেখে এরা যে একটু বিব্রতও হচ্ছেন না তা