কমিটির যৌথ সভায় উপস্থিত হলেন মৌলানা শওকত আলি এবং বিপিনচন্দ্র পাল। হিন্দু আর মুসলিমদের সমবেত শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য ব্রিটিশ শাসকরা একদিকে মুসলিমদের মনে হিন্দুদের সঙ্গে একযোগে অসহযোগ আন্দোলনে নামার বিরুদ্ধে যুক্তি খাড়া করার প্রয়াস পায় এবং পক্ষান্তরে হিন্দুদের মনে প্যান-ইসলামিজম ভীতি জাগিয়ে তোলার চেষ্টাও শুরু করে। এটা বুঝতে পেরেই মৌলানা আবুল কালাম আজাদ সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব অবসানকল্পে শরিয়তের ব্যাখ্যা করে এক বার্তা পাঠালেন—
“ভারত যদি স্বাধীন হয় এবং এমন কোন সরকারের দ্বারা শাসিত হয় যে-সরকার অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে মুসলমান সম্প্রদায়কে সমান স্বাধীনতা দেবে, সে ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশ হল, মুসলমানরা বিদেশি আক্রমণ থেকে ভারতকে রক্ষা করবে। সে আক্রমণকারী মুসলমান বা স্বয়ং খলিফা হলেও।”
সিলেট সম্মেলনে কালাম আজাদ সাহেবের বক্তব্যটি পাঠ করে শোনানো হলে শ্রোতারা উল্লসিত হয়ে ওঠেন।
দুই খিলাফত নেতা মৌলানা শওকত ভ্রাতৃদ্বয় সহ মহাত্মা গান্ধি কাছাড় পরিক্রমায় এলে আন্দোলনে নতুন প্রাণ সঞ্চার হল। ফাটকবাজারের সামনে মুক্ত জায়গায় গান্ধি আর শওকত ভাইদের বক্তৃতা শুনতে গ্রাম শহর ভেঙে মানুষ জমায়েত হল। গ্রামের গঞ্জে হাটে ঘাটে সর্বত্র গান্ধি আর গান্ধি। গ্রামের মেয়েদের ধামাইল গানে উঠে এলেন মহাত্মা গান্ধি—
গান্ধি বড় লোক গো সখি, গান্ধি বড় লোক
গান্ধি রাজে বানাইছইন পথ চলতে বড় সুখ।
রায়বাহাদুর বিপিনচন্দ্র লক্ষীপুর কাছারি বাড়িতে বসে সব খবরই পাচ্ছেন। কামিনীবাবুর বাড়িতেই যে মহাত্মাজির অধিষ্ঠান এ তো জানা কথা। ওদিকে মধুরা ভ্যালি, জাটিঙ্গা ভ্যালি আর হারাং ভ্যালিতে তাঁর ভ্রাতা স্বদেশি গান গেয়ে আলোড়ন লাগিয়ে দিয়েছে— এসব খবর, এমনকী