গানের কয়েক কলি পদও তাঁর কানে পৌঁছে গেছে। সে গাইছে—
ভয় কি মরণে, রাখিতে সন্তানে
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।
তা থৈ তা তৈ থৈ দ্রিমি দ্রিমি দ্রং দ্রং
ভূত পিশাচী নাচে যোগিনী সঙ্গে॥
সাঙ্গপাঙ্গরা সঙ্গে ততোধিক উচ্চরবে দোহার দিচ্ছে—
দানব দলনী হয়ে উন্মাদিনী
আর কি দানব থাকিবে বঙ্গে।
সাজোরে সন্তান, হিন্দু মুসলমান
নিতে হয় মুকুন্দেরে নিও গো সঙ্গে॥
প্রবল জলতরঙ্গ উঠেছে সব দিকে। রায়বাহাদুর বিপিনচন্দ্র দূর থেকে সবই লক্ষ করে যাচ্ছেন। তাঁর অবস্থান সত্যিই সংকটজনক। তিনি বিধান পরিষদে সরকারি মনোনীত সদস্য। আর এদিকে তাঁরই ভ্রাতা ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে পালের গোদা।
গ্রাম কাছাড়ে বিদেশি বর্জন কার্যসূচির সঙ্গে স্বদেশি উৎপাদনের আওয়াজও ধ্বনিত হল। রমেশ ভট্টাচার্য সাহিত্যসরস্বতী মহোদয়ের তৎপরতায় ইতিমধ্যেই তাঁত এবং সূতাকাটা শুরু হয়েই গিয়েছিল, এবার এলেন বিজ্ঞানসাধক রমেশচন্দ্র ভট্টাচার্য। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় আর রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর শিষ্য শিলচর নর্মাল স্কুলের এ শিক্ষক দশ বছর আগে শ্রীহট্টের জলসুখায় অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় সম্মেলন’ থেকে ‘মোর্স কোডে’বাংলা হরফে এক তারবার্তা প্রেরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। এবার তিনি রসায়ন বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে স্বদেশি সাবান, স্বদেশি ঔষধ তৈরি করে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করলেন। গ্রামেগঞ্জে স্বদেশি দ্রব্য ব্যবহারের বার্তা ছড়িয়ে গেল, তা সে