কিছু প্রত্যক্ষ করে গেল সে কি জানত পরিণত বয়সে ঐতিহাসিক হিসেবে এ দৃশ্যটা ধরা দেবে তাঁর কলমে একদিন?
আজ আর কেউই যেন বাড়ি যাবে না। ধীর পায়ে এগিয়ে চলা যতীন্দ্রমোহনের পিছনে পিছনে চলছে জনস্রোত। কণ্ঠে তাঁদের ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি। সমস্ত কুণ্ঠা জড়তা ঝেড়ে ফেলে দিদি ব্রহ্মময়ী গেয়ে উঠলেন—
বয়স উনিশ বছর মাত্র
তাঁরে দেখতে লাগে রাজপুত্র
সে যে হেসে হেসে ফাঁসিকাষ্ঠে
দাঁড়াইল বীরের বেশে
ভারতবাসীর কী ক্ষমতা গেল রে প্রকাশি।
মেয়েরা সমবেত কণ্ঠে দোহার দিল—
বড়ো অবিচারে হইলরে আমার
ক্ষুদিরামের ফাঁসি।
ভুলিবে কি প্রাণান্তে
ও ভারতবাসী॥
কুরঙ্গিনী ঠাকরুণ, লবঙ্গবালা, মোক্ষদা আর দিদির ধামাইল গানের সহচরীরা, সঙ্গে বিবাহিতা ভগ্নী শারদা, সদা মেজমামার পায়ে পায়ে ঘোরাঘুরি করা ভাগ্নি স্মৃতিকণা উচ্চকণ্ঠে দোহার দিতে দিতে চলল। অবাক হয়ে গ্রামের পুরুষেরা এক অভাবনীয় দৃশ্য প্রত্যক্ষ করল, রাজপথে মহিলাদের মিছিল। সনটা উনিশ শো একুশ।
২৩
রায়বাহাদুর বিপিনচন্দ্র বাড়ি থেকে অনেক দূর। গভর্নমেণ্ট অব ইণ্ডিয়া অ্যাক্ট ১৯১৯ অনুযায়ী ইতিমধ্যে আসামকে গভর্নর শাসিত প্রদেশ হিসেবে