—এইসব কর্মের ফলেই তোমরা নিজের বিরাদরি রক্ষা করতে পারবায় না।
এমনিতে এরা এসব গায়ে মাখে না। কিন্তু গ্রামবস্তির রসিকতা মাত্রা ছাড়ালে মোবেশ্বর আলিও বলতে ছাড়ে না,
—আকাশর দিকে থুতু মারিলে, নিজার মাথাত পড়ে। আমরা যেমত ধর্ম ছাড়িয়া নতুন বুলি ধরছি, তেমত আরও আছইন আমরার ধারে কাছে—খোদ চক্রবর্তী, চোধরী বাবন—কাছারি শাদি করিয়া নয়া বুলি, নয়া লেবাস ধরছইন। চেহারাছবির মাঝে নু অখনও বাবন বাপর ছাপ আছে, মুখো যতউ কেরেং বেরেং বুলি থাকউক না কেনে।
মোবেশ্বর আলির মুখ খুললে বিপদ,
—আমার চলাফিরা সর্বত্র, যাত্রাপুর, রানিঘাট, ধুমকর, উজানগ্রাম সর্বত্র। আমি যে হকলর নাড়ি নক্ষত্র জানি।
-এইটা ঠিক। এর লাগিয়াই তুমারে সবে ডাকইন মোবেশ্বর ঠাকুর।
—ঠিক কইছ, আমিও বাবনঅর তাকি কম যাই না। আমার দুই জমিদারবাড়ির দুর্গাপূজার হকলতা আমি জানি—কুন পাঁঠা বলিত লাগে আর কুনটা লাগে না, পইঞ্চ পল্লব মানে কী কী জাতর বটপাতা, দুর্গা পূজাত কত ঘাটর পানি আর কত ঘরর মাটি লাগে ইতা আমার জানা। সব বাবন ঠাকুরেও জানইন না।
একটু থেমে সে মোক্ষম কথাটি নিক্ষেপ করে,
—শুনি রাখে রাখো, হরিটিকরো কাছারি রাজার মৌত অইলে পরে কে যে কুন দিকে গেলা, কুন কাছারি বাড়িত আশ্রয় লইয়া কুন বাবনর বেটা পইতা-হারা হইলা, ইতার খবর আমার কাছে আছে। রাখো ইতা মাত। মানুষর সমাজ তো ইতা সব লইয়াউ। ভালাউ তো আছি আমরা মিল