পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অঙ্ক ] ষোড়শী [ প্ৰথম দৃশ্য [ অকস্মাৎ ইহাদের মধ্যে একটা চাঞ্চল্য দেখা দিল । কে একজন কহিল,-“স্বয়ং হুজুর আসছেন যে!” পরীক্ষণেই জীবানন্দ ও প্ৰফুল্ল প্ৰবেশ করিলেন । যাহারা বসিয়া ছিল অভ্যর্থনা করিতে উঠিয়া দাড়াইল । জীবানন্দ নাটমন্দিরে উঠিবার সিড়ির উপরে বসিতে যাইতেছিলেন, সকলে সমস্বরে বলিয়া উঠিল “আসন, আসন, শীঘ্র একটা আসন নিয়ে এস।” ) জীবানন্দ । (উপবেশন করিয়া) আসনের প্রয়োজন নেই।-দেবীর মন্দির, এর সর্বত্রইট ত আসন বিছানো । জনাৰ্দন। তাতে আব্ব সন্দেহ কি ! কিন্তু এ আপনারই যোগ্য কথা । [ প্ৰফুল্ল সিঁড়ির একাংশে গিয়া বসিল, এবং হাতে তাহার যে খবরের কাগজখানা ছিল তাঁহাই খুলিয়া নিঃশব্দে পড়িতে লাগিল। ] শিরোমণি। যাদৃশী ভাবনা যস্য সিদ্ধিৰ্ভবতি তাদৃশী । মেঘ না চাইতে জল। আজই দ্বিপ্রহরে আমবা হুজুরের কাছে যাবে স্থির করেছিলাম, কিন্তু পাছে নিদ্রার ব্যাঘাত হয়। এই জন্যই জীবানন্দ । যাননি ? কিন্তু হুজুর তা দিনের বেলা নিদ্রা দেননা । শিরোমণি । কিন্তু আমরা যে শুনি হুজুরজীবানন্দ । শোনেন ? তা আপনারা অনেক কথা শোনেন যা সত্য নয় এবং অনেক কথা বলেন, যা মিথ্যা । এই যেমন, আমার সম্বন্ধে ভৈরবীর কথাটা [। এই বলিয়া বক্তা হাস্য করিলেন, কিন্তু শ্রোতার দল থিতামত খাইয়া একেবারে মুসড়িয়া গেল ] + জনাৰ্দন । মন্দির সংক্রান্ত গোলযোগ যে এত সহজে নিস্পত্তি করতে পারা যাবে তা” আশা ছিলনা। নিৰ্ম্মল যে রকম বেঁকে দাড়িয়েছিল Sy © ዓ