পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অঙ্ক ] 6षांफुी [ দ্বিতীয় দৃশ্য এককড়ি । মায়ের আদেশে বিয়ের তেরান্ত্রি পরে স্বামীকে আর ভৈরবীর স্পর্শ করবারও যো নেই। তাই দূরদেশ থেকে দুঃখী গরীবের একটা ছেলে ধরে এনে বিয়ে দিয়ে পরের দিনই টাকাকড়ি দিয়ে সেই যে বিদায় করা হয়, আর কখনো কেউ তার ছায়াও দেখতে পায় না । এইই নিয়ম, এইই চিরকাল ধরে হয়ে আসচে। জীবানন্দ । ( সাহান্তে ) বল কি এককড়ি, একেবারে দেশান্তর ? ভৈরবী মানুষ, রাত্রে নিরিবিলি একপাত্ৰ সুধা ঢেলে দেওয়া-গরম মশলা দিয়ে চাট্টি মহাপ্ৰসাদ রোধে খাওয়ানো,-একেবারে কিছুই করতে পায় না ? এককড়ি। (মাথা নাড়িয়া) না হুজুর, মায়ের ভৈরবীকে স্বামী স্পর্শ করতে নেই, কিন্তু তাই বলে কি স্বামী ছাড়া গায়ে আর পুরুষ নেই ? মাতু ভৈরবীকেও দেখোঁচি, ষোড়শী, ভৈরবীকেও দেখােচ। লোকগুলো কি আর খামাকা-তার সাক্ষী দেখুন না-কথায় কথায় হুজুরের সঙ্গেই মামলা মোকৰ্দমা বাধিয়ে দেয়! জীবানন্দ । মেয়ে মোহন্ত আর কি ! তাতে দোষ নেই। এককড়ি, আলোটা জালোতো । এককড়ি। (আলো জালিয়া) এখন আসি হুজুর। জীবানন্দ । আচ্ছা যাও । বইখানা দিয়ে যাওতো । ( বই দিয়া প্ৰণাম করিয়া এককড়ি প্ৰস্থান করিল ) [ জীবানন্দ শুইয়া পুস্তকে মনোনিবেশ করিলেন। একটু পরে বাহিরে কাহার পায়ের শব্দ হইল। ] জীবানন্দ । àR