পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অঙ্ক ] ষোড়শী [ চতুর্থ দৃশ্য জনাৰ্দন। (স্নান-মুখে উঠিয়া) বেলা হ’ল যদি অনুমতি করেন তজীবানন্দ । বসুন, বক্সন, নইলে প্ৰফুল্লর জাক বেড়ে যাবে। তাছাড়া ভৈরবীর কথাটাও শেষ হয়ে যাক। কিন্তু আমি যাও বললেই কি সে যাবে? জনাৰ্দন । সে ভার আমাদের ৷ জীবানন্দ । কিন্তু আর কাউকেত বাহাল করা চাই ৷৷ ও তা খালি থাকতে পারে না। অনেকে । সে ভারও আমাদের । জীবানন্দ । যাক বাচা গেল, তবে সে যাবেই। এতগুলো মানুষের নিশ্বাসের ভার এক ভৈরবী কেন, স্বয়ং মা চণ্ডীও সামলাতে পারেন না। আপনাদের লাভ লোকসান আপনারাই জানেন, কিন্তু আমার এমন অবস্থা যে টাকা পেলে আমার কিছুতেই আপত্তি নেই। নতুন বন্দোবস্তে আমার কিছু পাওয়া চাই। ভাল কথা, কেউ দেখতরে এককড়ি আছে না গেছে ? কিন্তু গলাটা এদিকে যে শুকিয়ে একেবারে মরুভূমি হয়ে গেল। বেহারিা । ( প্ৰবেশ করিয়া প্রভুর ব্যগ্র-ব্যাকুল হন্তে পূর্ণ-পাত্ৰ দিয়া ) তিনি রান্না-বাড়ীর ঘরগুলো দেখাচেন । জীবানন্দ । এর মধ্যেই ? ডাক তাকে । (মদ্যপান ) [ ইহার পর হইতে পূজার্থীরা মন্দিরে প্রবেশ করিতে লাগিল ও পুজা শেষ করিয়া বাহির হইয়া যাইতে লাগিল-তাহাদের সংখ্যা ক্রমশই বাড়িতে লাগিল ]] [ এককড়ি প্রবেশ করিল। ] জীবানন্দ। আজ যে ভৈরবীকে তলব করেছিলাম, কেউ তাকে খবর দিয়েছিল ? 越°