পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विडीयू अश्क ] ষোড়শী। [ প্ৰথম দৃশ্য অক্ষম, তেমনি দুৰ্বল, তেমনি অপটু। দরকারের সা কোথায় হারাবে এদের কাগজ-পত্ৰ, বার হবার সময়ে কোথায় যাবে জাকাপড়-পোষাক, রাস্তায় বেরিয়ে কোথায় ফেলবে পকেটের টাকাকড়ি-কোন ভরসায় একলা ছেড়ে দিই বলত ? ( সহস্যে) একটুখানিচাখের আড়াল করেছিলাম বলেই ত সেদিন অমন বিভ্ৰাট বাধিয়েলেন । ভাগ্যে তুমি ছিলে। ভৃত্য। মা, কালকের মত আজও ঝড় জল হতে পারস্রোিঘউঠেচে। হৈম। আজ তা’হলে উঠি । মেঘের জন্যে নয়, }, তোমার কােছ থেকে উঠতে ইচ্ছে করেনা। কিন্তু কাল সকালেই, যাত্রা করতে হবেআজ যেন আর কাজের অন্ত নেই। একে নিয়ে পালিয়ে এসেছি, লুকিয়ে বাড়ী ঢুকতে হবে,-বাবা না দেখতে পান। এতক্ষণে খোকা হয়ত ঘুম ভেঙে উঠে বসে কঁাদচে, তাকে আবার দুধ খাইয়ে। ঘুম পাড়াতে হবে, এর খাওয়া-দাওয়া আমি ছাড়া কেউ বোঝেন, তুঙ্গাড়ালে থেকে সে ব্যবস্থা করতে হবে,--তার পরে রেল গাড়ীতে দীর্ঘ পথের সমস্ত আয়োজনই আমাকে নিজের হাতে ক’রে নিতে হবে। এ কারও উপর নির্ভর করবার যো নেই। স্বামী, পুত্র, চাকর বাকর,--তার কত ঝঞ্চাট, কত ভার,- আমার নিশ্বাস ফেলবারও সময় নেই, দিদি । ষোড়শী। এতে ত তোমার কষ্ট হয় বোন ? হৈম। (হাসিমুখে) তা’ হয়। তবু, এই আশীৰ্বাদ আমাকে কর তুমি যেন এই কষ্ট মাথায় নিয়েই একদিন যেতে পারি। আর ফিরে যদি আবার জন্ম নিতেই হয় যেন এমনি কষ্টই বিধাতা আমার অদৃষ্ট লিখে দেন। সেদিনও যেন এমনি নিশ্বাস ফেলবারও অবকাশ না পাই । \ტ8