পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অঙ্ক ] ষোড়শী [ তৃতীয় দৃশ্য ফকির । তোমরা জনকতক বিচার না করলেই কি চণ্ডীগড়ে তার বিচার করবার মানুষের অভাব হবে সাগর ? সাগর। কিন্তু তারাই কি মানুষ ? আমরা তঁর ছেলে,-আমাদের অন্তরের বিশ্বাসের চেয়ে কি তাদের বাইরের বিচারটাঃ বড় হবে, ফকির সাহেব ? তাদের কি আমরা চিনিনে ? একদিন যখন আমাদের সর্বস্ব কেড়ে নিলে তারা সেও যেমন সত্যি-পাওনার দাবীতে, আবার জেলে যখন দিলে সেও তেমনি সত্যি-সাক্ষীর জোরে ! ফকির । সে অামি জানি । সাগব। কিন্তু সব কথা তা জানোনা । খুড়ো ভাইপোয় জেল খেটে ফিরে এসে দাড়ালাম । ব’ললাম, মা, আমরা যে মারি । মা রাগ করে বললেন, তোরা ডাকাত, তোদের মরাই ভাল। অভিমানে ঘরে ফিরে গেলাম। খুড়ো বললে, ভগবান! গরীবকে বিশ্বাস করতে কেউ নেই। পরের দিন সকালবেলা মা আমাদের ডেকে পাঠিয়ে বললেন, তোদের কাছে আমি মস্ত অপরাধ করেছি, বাবা, আমাকে তোরা ক্ষমা করু। তোদের কেউ বিশ্বাস না করুক আমি বিশ্বাস কোরব। এখনো বিঘে কুড়ি জমি আমার আছে, তাই তোরা ভাগ করে নে। চণ্ডীর খাজনা তোরা যা ইচ্ছে দিস, কিন্তু অসৎপথে কখনো পা দিবিনে এই আমার সন্ত্ৰ । ফকির । কিন্তু লোকে যে বলেসাগর। বলুক। শুধু মা জানলেই হল সে বিশ্বাস আমরা কখনাে ভাঙিনি। জানো ফকির সাহেব, আমাদের জন্যেই এককড়ি তার শত্ৰু, আমাদের জন্যেই রায় মশায় তঁর দুষমনে । অথচ, তারা জানেওনা কার দয়ায় আজও তারা বেঁচে আছে । సాలి