জ্জোল তমাশি তাড়াতাড়ি ডাক্তে পাঠিয়েছিলেন। ও কি রে, তোর মুখ যেন ভার-ভার বোধ হচ্ছে! কি হয়েছে, বল ত ? তোকে ত এমন কখন দেখিনি।” সিদ্ধেশ্বর একটু হাসিয়া বলিলেন “না, তেমন কিছু নয়।” “তেমন নয় ত কেমন ?” “এখন থাক না, আর এক সময়ে গুন মা !” “কেন, মানদী এখানে রয়েছে বলে কি তোর কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ হচ্চে ? তা, ওর সামনে কথা বলতে হানি কি ? ও যে এখন আমাদের মুখ-দুঃখের ভাগী রে!” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “এখন থাকহঁ ন মা ! এমন কিছু গুরুতর কথা নয় যে, এখনই না বললে চলছে না।” মানদা বলিলেন “দিদি, আমি না হয় উঠে যাই ; আমার সম্মুখে কথা বলতে হয় ত আপত্তি আছে।” এই বলিয়া মানদী উঠিতে গেলেন। রমাসুন্দরী তার হাত ধরিয়া বসাইয়া বলিলেন “ন, না, তুমি যাবে কেন।” ዄ C মানদা বলিলেন “দিদি ! তুমি বুঝতে পারছ না। আমার ঠিক মনে হচ্ছে, আমার সম্বন্ধেই কথা হয়েছে ; তাই উনি আমার সম্মুখে বলতে চাচ্ছেন না। আমি তখনই বলেছিলাম দিদি, এ পোড়ামুখীকে তুমি স্থান দিও না ; তোমার ভাল হবে না। ঠিক তাই হয়েছে। আমি বলছি, আমারই কথা নিয়ে কাকাভাইপোতে মনান্তর হয়েছে। নইলে ওঁর মুখ ত এমন মলিন এ কয়দিন দেখি নি।” సి\ని
পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।