ষোল-তমালি একেবারে নিতান্ত ছোট হবে, তা আমি মনে করি না । বেশ ত, হোক না দুটো দল। তাতে আমরা ভয় পাচ্ছি না। দেবীপুরের নয়আনির ঘরে যথেষ্ট টাকা মজুত ছিল ; আমিও চেষ্টা করে তা বাড়িয়েছি, কমাই নাই । সেই টাকা এই সৎ কায্যে ব্যয় হোক । আমাদের সংসারের অবস্থা ত দেখ ছ। বোমার জীবনের আশা নেই। একটা ছেলে কি মেয়েও তোলো না । কবে যে সে চোখ বুজবে, তা বলতে পারিনে। তার দেহত্যাগ হলে সিদ্ধেশ্বর যে কি করবে, ত! আমি তার মা, আমি বেশ বুঝতে পেরেছি। এ নয়আনির বংশে কেউ থাকবে ন—এ বংশ লোপ হবে । তখন এ জমিদারী, এত টাকা কি হবে ? তাই ভগবান লোক এনে দিয়েছেন, বুঝেছিস । এ সবই তার থেলা । সেই খেলাই হোক না। মানদী তুই আমি হাজার চেষ্টা করলে, হাজার বাধা দিলেও সে খেলা বন্ধ হবে না । সে চেষ্টা করা ও বৃথা । এই কথা মনে করে রাখিস, আর তোকে কিছু বলতে চাইনে। তুই মনে কিছু করিদ না। তুই আমাদের আপনার জন হয়েছিস্ ; পর মনে হলে এমন করে তোকে বুকে তুলে নিতাম না।” মানদার চক্ষু জলভরাক্রান্ত হইল। তিনি একবার সিদ্ধেশ্বরের সেই উদার, প্রশান্ত, ধীর, স্থির মুখের দিকে চাহিলেন ; সে মুথে স্বৰ্গীয় বিমল জ্যোতিঃ দেখিতে পাইলেন। তাহার পর রমাসুন্দরীর দিকে চাহিলেন ; দেখিলেন জগন্মাতা জগদ্ধাত্রী যেন স্নেহ-কোল বিস্তার করিয়া জগতের পাপী-তাপী অনাথ-অনাথাকে সেই বিশ্বব্যাপী ক্রোড়ে আশ্রয় গ্রহণ করিবার জন্য সস্নেহে আহবান Y o e
পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।