ষোল-অমানি লোকটা কিন্তু প্রকাণ্ড নেশাখোর—গাজা ও সিদ্ধি তাহার নিত্য সহচর। অবশু এই নেশার খরচের জন্ত র্তাহাকে কাহারও দ্বারস্থ হইতে হয় না ; বরঞ্চ দুই-চারিজন নিঃস্ব নেশাথোর তাহারই দ্বারস্থ হয় । লোকটর প্রধান গুণ এই যে, সে উচিত-বক্তা,—সে উচিত কথা বলিতে কাহাকেও ক্রট করে না। তাহার নাম শীতল ঠাকুর। যখন পাড়ায় কয়েকজন ব্রাহ্মণ দল বাধিয়া সাত-অানির বাড়ীতে আসিতেছিলেন, তখন পথের মধ্যে শীতল ঠাকুরের সহিত তাহাদের সাক্ষাৎ হয়। এতগুলি ব্রাহ্মণ একসঙ্গে যাইতেছেন দেখিয় তাহার মনে হইল নিশ্চয়ই র্তাহারা কোথাও নিমন্ত্রণে যাইতেছেন। সে জিজ্ঞাসা করিল “কি গো বাড়ধ্যে মশাই, দল বেঁধে কোথায় যাওয়া হচ্ছে ? নিমন্ত্রণ পেকেছে না কি ? কিন্তু তা হলে শীতল ঠাকুর বাদ যায় কেন ?” বাড়য্যে মহাশয় বললেন, “ন হে শীতল, এখনও নিমন্ত্রণ পাকে নাই বটে, কিন্তু বিশেষ বিলম্বও নেই। চল না, সাতআনিতে, সব জানতে পারবে ।” e শীতল ঠাকুরের তখন বিশেষ কোন কাজ ছিল না ; তাহার মনে হইল, এতগুলি ব্রাহ্মণ যখন সাত-আনিতে যাইতেছেন, তখন বোধ হয় অদূর ভবিষ্যতে কোন একটা বৃষোংসর্গ ব্যাপারের সম্ভাবনা হইয়াছে। যাক, সঙ্গে গিয়েই দেখা যাক না। এই ভাবিয়Lশীতল ঠাকুরও মনোহর বাবুর বৈঠকখানায় গিয়াছিল। সে চুপ করিয়া বসিয়া সমস্ত কথাই শুনিল। পুরোহিত মহাশয় Yo (t
পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।