পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-অমানি মনোহর বাবু রাগিয়া উঠিয়া বলিলেন “কি তুমি ভেঙ্গে দিতে পার শীতল ? বলই না ?” শীতল বলিল “তা হলে বলে ফেলি। ঐ যে ওপাড়ার তিনকড়ি চাটুৰ্য্যে তার ভাদ্রবধূকে নিয়ে আছে, সে কথা মশাইরা জানেন না ? কৈ তাকে ত কেউ একঘরে করেন নাই! আর যিনি বড় উচু গলা করে তর্ক করছেন, বলব ন। কি— ই বলব না কি, তর্করত্ন মশায়, আপনার গুণের কথা ! এই শীতল ঠাকুরের হাত পৈতে দিয়ে জড়িয়ে ধরবার বৃত্তান্তটা ! কেমন সত্যি কি না । বেশ ত, আগে এদের একঘরে করুন, তার পর ও-বাড়ীর সিধু বাবুর বিচার করা যাবে। সে বেচারী অপরাধ করেছে কি ?—না একটা বিধবা ব্রাহ্মণ-কন্যাকে একটা র্যাড়ে আক্রমণ করেছিল ; সিধুবাবু, তাকে বাজারে ঘর বেঁধে দিয়ে এই তোমাদের মত দশজন বক ধাৰ্ম্মিকের পথ খোলসা করতে না দিয়ে, তাকে আশ্রয় দিয়েছে। এই তার অপরাধ, কেমন ! আরে সুবর্ণপুর কি আর আমি চিনিনে। আমি যখনতখনই গিয়ে থাকি—আমার পিসি যে সুবর্ণপুরের বাড়য্যেদের বেী—তাত জান। আমি গোরাচাদকেও চিনতাম, কালু মুথু য্যেকেও জানি । আমি ও-গায়ের অনেকেরই ঠাড়ীর খবরও দিতে পারি। এই শীতল ঠাকুর গাজাই থাক আর সিদ্ধিই থাক, কারও মুখ চেয়ে কোন দিন মিথ্যা কথা বলে নাই। আমি একগল গঙ্গাজলে দাড়িয়ে বলতে পারি, গোরা মুখুয্যের বেীকে কেউ কোন নিন্দে করে নাই ; এখন যে করবে, তার জিভ থলে পড়বে। Ye Q