ৰোল-তমালি কাছে ! থাক, আর পথের মধ্যে মুক্তে ছড়িয়ে কাজ নেই। যাই একবার সিধু বাবুর কাছে, প্রাণ খুলে একবার হেসে নিই গে ! জিতা রও বাবা চতুরং ! তোমারই নেশাতে আজ একেবারে সাত-আনি এই এতটুকু—একেবারে ঘস-আধ লা!” এই বলিয়া অনুচ্চস্বরে কি বলিতে বলিতে শীতল ঠাকুর নয়-আনির বাড়ীতে যাইয়া দেখিল, বাহিরে বাবুর খাস ভূত্য চৈতন দাড়াইয়া আছে। ঠাকুর তাহার কাছে যাইয়া বলিল “ওহে বাপু চৈতন্তচন্দ্র না চৈতন দাস, একবার বাবুকে খবর দেও যে, শ্ৰীযুক্ত শীতলচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় ভবদীয় দর্শনপ্রার্থী ; বুঝলে বাবা ” চৈতন বলিল “কি ঠাকুর, আজ যে দেখছি ভারি ফৰ্ত্তি। ক-ছিলিম উড়িয়েছ ?” “আরে রেখে দাও না ভাই তামাসা ! বাবুকে খবর দেও ! তখন দাড়িয়ে শুনে—ক-ছিলিমে সাত-আনি দখল হয়েছে।” এই বলিয়া সে বারান্দায় উঠিয়া একখানি বেঞ্চে বসিয়া পড়িল । চৈতন বলিল “সত্যিই বাবুকে খবর দিতে হবে ?” “সত্যি না কি মিথ্যা । তোর সঙ্গে তামাসার সম্বন্ধ আছে না কি ? যা, যা, যে বকৃশীস মিলবে—তার আধা-বথ রা! হাঃ—হাঃ– হাঃ !” o চৈতন আর কথা না বলিয়া বাড়ীর ভিতর চলিয়া গেল। শীতল গুণ-গুণ করিয়া গান ধরিল— “তারিতে হবে মা তার হয়েছি শরণাগত । অনায়াসে তরে গেল কত পাপী আমার মত।—আহা বেশ!” ১৯২
পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।