চণ্ডী বাবু তখন চীৎকার করিয়া বলিলেন “ওগো, তোমরা মেয়েরা কে এসেছ, শীগ্গির ঘরের মধ্যে এস। বড়-বৌ যে কেমন করছেন?”
এই কথা শুনিয়াই চণ্ডী বাবুর দিদি অগ্রসর হইলেন। তাঁহাকে ঘরে প্রবেশ করিতে দেখিয়াই দ্বারের নিকট যাঁহারা ছিলেন, তাঁহারা একটু সরিয়া দাঁড়াইলেন।
কালাচাঁদ তখন দ্বারের আড়ালে দাঁড়াইয়া ছিল। সে মনে করিল, এই তাহার পলায়নের সুযোগ; সে ঘরের অন্য যে দ্বার ছিল, তাহা খুলিবার উপায় ছিল না। সে তখন রমামুন্দরীকে এক ধাক্কা দিয়া বারান্দায় আসিয়া পড়িল। সকলেই সতর্ক ছিল—তাহার আর পলায়নের পথ হইল না। একজন তাহাকে এমন এক ধাক্কা দিল যে, সে বারান্দা হইতে একেবারে নীচের উঠানে পড়িয়া গেল। তিনচারি জন আসিয়া তাহাকে চাপিয়া ধরিল; দু-চারটী উত্তম-মধ্যমও হইয়া গেল।
সিদ্ধেশ্বর বাবু বাহিরে উঠানে দাঁড়াইয়া ছিলেন। তিনি বলিলেন “আহা মেরো না গো! যাতে পালাতে না পারে, তাই কর। কোন অত্যাচার কোরে না।”
চণ্ডী বাবু তখন বারান্দা হইতে নামিতে নামিতে বলিলেন “ঘরের মধ্যে আর গোল করে কাজ নাই। মেয়েরাই যা হয় করবেন। তোমরা নেমে এস।”
প্রাঙ্গণে আসিয়া দেখেন, পাড়ার অনেক লোক আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন। চণ্ডী বাবু বলিলেন “আর এখানে গোল করে কাজ