[ ৪ ]
কালাচাঁদকে লইয়া সকলে চণ্ডী বাবুর বাড়ীতে উপস্থিত হইলেন। সেখানে বৈঠক বসিল; পাড়ার মাতব্বরেরা সকলেই ছিলেন যুবকেরাও উপস্থিত। তখন কথা উঠিল, কর্ত্তব্য কি? কালাচাঁদ যে পাপ কার্য্য করিয়াছে, তাহার আর প্রায়শ্চিত্ত নাই।
বৃদ্ধ চক্রবর্ত্তী মহাশয় বলিলেন “যা হবার তা হয়ে গিয়েছে; এখন আর সে কথা নিয়ে আন্দোলন করে কি লাভ হবে। অধিক লোক-জানাজানি করে সুধু কলঙ্ক বাড়ানো। এখন চেপে যাওয়াই কর্ত্তব্য। এতবড় সম্মানী ঘর, মুখুয্যেদের দেশজোড়া নাম; লোকজানাজানি করে সেই বংশের কলঙ্ক প্রচার করা কিছুতেই উচিত হবে না! তাতে তোমাদেরই একঘরে হতে হবে। ওই গোরাচাঁদের মেয়েটী রয়েছে; তার বিবাহই হবে না। এমন কলঙ্কের কথা রাষ্ট্র হলে কি তোমাদের ঘরের মেয়ে নিতে কেউ সম্মত হবে? এখন চেপে যেতেই হবে। এই হতভাগাটা দশ ব্রাহ্মণের পা ছুঁয়ে দিব্বি করুক যে, এমন কর্ম্ম আর করবে না—”
কে একজন বলিয়া উঠিল “আর একশ হাত মেপে নাকে খত দিতে হবে।”
একটী যুবক বলিলেন “কালাচাঁদ মুখুয্যের সঙ্গে কেউ কোন