পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষোল-আনি

নেই। কৈ এতদিন ত অমন করে ঢাক ঢোল বাজাও নেই। ঐ যে ও-বাড়ীর—"

চণ্ডী বাবু বাধা দিয়া বলিলেন “ঠাকুরদা, আর পরের কথা তুলে কি হবে? গোপনে ত অনেক চলে যাচ্ছে; তা আপনিও দেখছেন, আমরাও দেখছি। কি করব, দেখেও দেখিনে, শুনেও শুনিনে। কিন্তু সে সবই গোপনে চলছে। এটা যে বড়ই বেজে উঠল, তার কি উপায়?”

কেনারাম ভট্টাচার্য্য গ্রামের অনেকেরই পুরোহিত। তিনি এক টিপ নস্য গ্রহণ করিয়া গম্ভীরভাবে বলিলেন “এ সম্বন্ধে শাস্ত্রের বিধানই বলবৎ গণ্য করতে হবে। এ প্রকার কুকার্য্য যে অনুষ্ঠিত হয় না, এমন কথা উচ্চারণ করা সমীচীন হবে না। এ প্রকার ব্যাপার সংঘটিত হয়, কিন্তু অতি গোপনে। যে গৃহে এই শ্রেণীর পাপাচার হয়, সেই গৃহস্থই তাহা গোপন করিয়া ফেলেন; পল্লীর দুদশজনের তাহা শ্রতিগোচর হইলেও তাহা জনশ্রুতি মাত্র; সুতরাং তাহা শাস্ত্রের অধিগম্য নহে। কিন্তু বর্ত্তমান ক্ষেত্রে তাহার ব্যত্যয় হইয়াছে। এই কুকার্য্যের সংবাদ কেবল গৃহস্থের গৃহের সীমার মধ্যেই আবদ্ধ রহিল না, গৃহান্তরেও গেল;– গৃহান্তরই বা বলি কেন, গ্রামান্তরের অনেক ভদ্রলোকও এই ব্যাপারের প্রত্যক্ষদর্শী হইলেন। সুতরাং গোপনে অনুষ্ঠিত কুকার্য্য বলিয়া ইহা গণ্যই হইতে পারে না। ইহা প্রকাশ্য ব্যভিচার। মাতৃসমা বিধবা ভ্রাতৃবধুর উপর তাঁহার অসন্মতিতে অত্যাচার। শাস্ত্রানুসারে ইহার দণ্ড, কর্ত্তব্য। এ বিষয় লইয়া রাজদ্বারে উপস্থিত হইবার

১৮