পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষোল-আনি

তাঁহার পূজনীয়া মাতাঠাকুরাণী যখন কেনারাম ভট্টাচার্যের সহিত আলোচনায় প্রবৃত্ত হইলেন, তখন তিনি সে আলোচনার মধ্যে কথা বলা সঙ্গত মনে করিলেন না। কিন্তু, তাঁহার মাতা যখন বলিলেন “কি পথ তোমরা তাকে দেখিয়ে দিতে পার, বল না?” তখন সিদ্ধেশ্বর অতি ধীর ভাবে বলিলেন “মা, তুমিই একটা পথ দেখিয়ে দেও না।”

রমামুন্দরী তীক্ষ দৃষ্টি পুত্রের মুখে নিবদ্ধ করিলেন; একটু চুপ করিয়া থাকিয়াই কহিলেন “পথ দেখিয়ে দিতে পারি, কিন্তু সে পথে চল্‌তে পারবি সিধু!”

সিদ্ধেশ্বর দৃঢ় স্বরে বললেন “তুমি যদি আদেশ কর মা, তুমি যদি সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাক, তা হলে তোমার এই অযোগ্য সন্তান সব করতে পারে।”

“তবে শোন্‌ সিধু, আমি যে এতক্ষণ কেনারামের সঙ্গে তর্ক করছিলাম, সে তোর মন বোঝবার জন্য; সুবর্ণপুরের কালু মুখুয্যের জন্য আমার মাথাব্যথা পড়ে নাই। আমি ভাবছিলাম মানদার কথা—আমি ভাবছিলাম তোর কথা সিধু! আমার সে বাসনা পূর্ণ হয়েছে। তুই আমাকে পথের কথা জিজ্ঞাসা করবি, তারই জন্য এতক্ষণ এত কথা-বল্‌ছিলাম। শোন তবে আমার পথের কথা। আমি মানদাকে ঘরে নিয়ে যাব-দেবীপুরে নিয়ে যাব। এতদিনে দেবীপুরের নাম সার্থক করব। কেমন, পারবি এ ভার নিতে?”

“বলেছি ত মা, তোমার আদেশ প্রতিপালনে জন্য সব করতে পারব।”

২৩