[ ৫ ]
“কি হবে গিন্নি?”
“কিসের কি হবে বড়-বৌ?”
“বড় বৌ! ও নাম ধরে আর আপনি আমাকে ডাক্বেন না। বড়-বৌ! সে ত নেই। সে নেই গো! সে আর নেই! আজি সন্ধ্যা পর্যন্তও আমি এক গৃহস্থের বড়-বৌ ছিলাম গিন্নি! এখন আর তা নেই! সে সব আমার ঘুচে গেছে—চিরদিনের মত গেছে। কাল সকালে আর তার চিহ্নও থাক্বে না। সে কথা বল্ছিনে গিন্নি, মেয়েটার কি হবে? আমি চলে গেলে, কে তাকে দেখ্বে? সে কার কাছে দাঁড়াবে? তার যে আর কেউ নেই।” মানদা আর কথা বলিতে পারিলেন না; তিনি কাঁদিয়া উঠিলেন।
রমাসুন্দরীর কাছেই সুহার দাঁড়াইয়া ছিল; তিনি তাহাকে মানদার কোলের কাছে বসাইয়া দিতে গেলেন। মানদা চীৎকার করিয়া সরিয়া বসিলেন; বলিলেন “না, না, ওরে সুহার, তুই আমাকে স্পর্শ করিস্ না, আমার কাছে আসিস্ না। সরে যা মা আমার, সরে যা। তোর মা নেই! তোর মা যে সন্ধ্যার পরে মরে গিয়েছে রে”-
সুহার সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া মায়ের গলা