পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



[  ]

"ওহে ঘটক, শুনেছ, ও-বাড়ীর বড়-গিন্নী কি এক কীর্ত্তি করে বসেছেন?”

“সে কি আর শুনতে বাকী আছে ছোট কর্ত্তা! একেবারে একটা বেশ্যাকে এনে ঘরে তোলা। এমন ত কখন শুনিনি।”

অখিল পাল ঘাড় নাড়িয়া বলিল “সুধু একটা বেশ্যা নয কর্ত্তা, সঙ্গে আবার একটা বার বছরের মেয়ে! মেয়েটা নিজের, না ব্যবসার জন্য জুঠিয়ে নেওয়া, কে জানে?”

“আরে, না হে না, মেয়েটা ঐ মাগীরই গর্ভজাত, তবে হ’তে পারে সেটা জারজ।”

পীতাম্বর ঘটক বলিল “জারজ যে, তার আর সন্দেহই নেই, নইলে আমন সুন্দরী হয়।”

“খুব সুন্দরী না কি? কৈ, তা ত শুনিনি। তবে মাগীটা যে খুব সুন্দরী আর যুবতী, তা শুনেছি।”

অখিল পাল বলিল “আজ্ঞে, আমরাও কি আর চোখে দেখেছি, তাদের যে একেবারে পর্দ্দানশীন করা হয়েছে; কারও কি দেখবার যো আছে– একেবারে অসূর্য্যস্পশ্যা!”

কথা হইতেছিল দেবীপুরের সাত-আনির জমিদার শ্রীযুক্ত মনোহর চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের বৈঠকখানায়। পীতাম্বর

৫৬