আমি ত এই বুঝি। দশজনকে যদি এই পালনই না করলাম, তা হলে টাকা থেকে কার কি লাভ, কি বল হে ঘটক!”
পীতাম্বর বলিল, “আজ্ঞে তা বই কি। এই ত রাজার মত কথা।”
মনোহর বাবু বলিলেন “সে কথা মরুক গে। এখন কি করা যায় বল ত? এই দেখ সুবর্ণপুর থেকে কালাচাদ মুখুয্যে পত্র লিখেছে। যা লিখেছে, সে ত অতি ভয়ানক কথা। এই নেও চিঠিখানা ত একটু চেঁচিয়ে পড় ত হে অখিল!”
অখিল চিঠি লইয়া একটু উচ্চৈঃস্বরে পড়িল—
“প্রণাম পূর্ব্বক নিবেদনমেতৎ
মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ পরিচয় না থাকিলেও আপনার নাম ও গুণগ্রামের কথা এত দূরস্থানে থাকিয়াও আমরা অবগত আছি। দেবীপুরের বিখ্যাত জমিদারবংশের যে আপনি অলঙ্কার, এ কথাও এ অঞ্চলের সকলেই জানে। সেই সাহসে নির্ভর করিয়াই আপনাকে আমার সম্বন্ধে কয়েকটী কথা নিবেদন করিতেছি। মহাশয় ধনী, মানী, এতদঞ্চলের ব্রাহ্মণকুলের শিরোমণি, আপনি কথাগুলি বিবেচনা করিয়া যাহা বিহিত ব্যবস্থা করিবেন।
এই সুবর্ণপুরের ৺ গোরাচাঁদ মুখোপাধ্যায় মহাশয় আমার সহোদর ভ্রাতা না হইলেও দূরসম্পর্কে আমার ভ্রাতা। আমি বাল্যকাল হইতেই তাঁহাদের বাড়ীতে প্রতিপালিত এবং তাঁহাদেরই পরিবারভুক্ত। আমার সেই দাদামহাশয় মাস-ছয়েক পূর্ব্বে পরলোকগত হইয়াছেন। তিনি জীবিতকালে সংসারের কোন কাজকর্ম্মই