পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষোল-আনি

দেখিতেন না; সর্ব্বদাই উদাসীন ভাবে বিমর্ষ অবস্থায় থাকিতেন। তাহার কারণ তিনি কখনও প্রকাশ না করিলেও আমি তাঁহার পরিবারভুক্ত এবং তাঁহার ভ্রাতা, আমি বিশেষ অবগত ছিলাম; কিন্তু পরিবারের গ্লানি ও কলঙ্কের কথা প্রকাশ করা কর্ত্তব্য নহে, বুঝিয়া তিনিও চুপ করিয়া গিয়াছেন, আমিও কোন উচ্চবাচ্য করি নাই। এক্ষণে যখন কথাটা যে ভাবেই হউক প্রকাশ হইয়া পড়িয়াছে, তখন বলিবার আর বাধা নাই। আমি বিলক্ষণ বুঝিতে পারিয়াছিলাম যে, দাদা জানিতে পারিয়াছিলেন, তাঁহার স্ত্রীর চরিত্র ভাল নহে; এমন কি তাঁহার যে কন্যাটি আছে, সেটীও তাঁহার ঔরসজাত নহে, এ কথাও তিনি জানিতেন। আমি সমস্ত জানিয়াও তঁহার দিকে চাহিয়া কোন কথা বলিতাম না। তৎপরে তাঁহার মৃত্যু হইবার পর তাঁহার স্ত্রী—আমার ভ্রাতৃবধূ বড়ই বাড়াবাড়ি করিয়াছিলেন; এমন কি বলিতে ঘৃণা হয় যে, তিনি মুসলমানের সংশ্রবেও ছিলেন। এ অবস্থায় আমি আর কতদিন চুপ করিয়া থাকিতে পারি। তাই এই কয়েকদিন পূর্ব্বে এক রাত্রিতে তাঁহাকে শাসন করিতে উদ্যত হইলে তিনি চীৎকার করিয়া পাড়ার লোক একত্র করিলেন। আপনার ভ্রাতৃবধূ শ্রীযুক্ত সিদ্ধেশ্বর বাবুর মাতা সে দিন তাঁহার ভ্রাতা শ্রীযুক্ত চণ্ডীবাবুর বাড়ীতে ছিলেন। আমার ভ্রাতৃবধুর চীৎকার শুনিয়া তিনি এবং ঐ বাড়ীর ও পাড়ার অন্যান্য সকলে আমার বাড়ীতে উপস্থিত হইলে আপনার ভ্রাতৃবধূই প্রচার করিলেন যে, আমি আমার ভ্রাতৃবধূর ধর্ম্মনষ্ট করিয়াছি। আমার ভ্রাতৃবধু কিছু বলিয়াছিলেন কি না, তাহা

৬০