পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তলানি কাতায় অধ্যয়ন করিতে যায়। সিদ্ধেশ্বর তখন এম-এ ও বি-এল পাশ করিয়া দেশে আসিয়া বসিয়াছে । আমরা যে সময়ের কথা বলিতেছি, তখন হরিহর আই-এ পাশ করিয়া কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে বি-এ পড়িতেছিল ; এবং দাদা সিদ্ধেশ্বরের অনুরোধেই সে ইংরাজী সাহিত্যে ‘অনার’ লইয়াছিল। হরিহর সিদ্ধেশ্বরকে সত্যসত্যই সহোদর বড় ভাইয়ের মত ভক্তি করিত। সে যাহার-তাহার কাছেই বলিত, তাহার দাদা দেবতার মত ; র্তাহার জমিদারের ঘরে জন্মগ্রহণ করাই ভুল হইয়াছে। আর একটা কথা বলিলেই মনোহর বাবু সম্বন্ধে সমস্ত কথাই বলা হইয়া যায়। রমাসুন্দরী এতকাল সমস্ত বিবাদ-বিসংবাদ ভুলিয়াও মনোহর বাবুর সামাজিক সমস্ত ব্যাপারেই যোগ দিয়া আসিয়াছেন ; কিন্তু বিগত এক বৎসর হইতে তিনি আর সাতআনির বাড়ীতে যান না। কারণ, এতকাল পরে মনোহর বাবুর এই বৃদ্ধ বয়সে চরিত্র-দোষ ঘটিয়াছে। তাহার বাড়ীর একটা দাসী কেমন করিয়া তাহার বিশেষ কৃপাপাত্ৰী হইয়া উঠিয়াছে। মনোহর বাবু যদি একটু সাবধানে কাৰ্য্য করিতেন, তাহা হইলেও হয় ত এ ব্যাপার রমাসুন্দরী বা অপরের কর্ণগোচর হইত না ; কিন্তু তিনি সেই দাণীটিকে এতদূরই প্রশ্রয় দিয়াছেন যে, সে এখন বলিতে গেলে গৃহস্বামিনীর আসনই অনেকটা দখল করিয়া বসিয়াছে। এ অবস্থায় রমাসুন্দরী সাত-আমির সহিত ঘনিষ্ঠতা রাখিতেই পারেন না। মনোহর বাবুর পুত্র হরিহর কলিকাতায় অধিকাংশ সময় থাকিলেও অবকাশ সময়ে বাড়ীতে আসিয়া সমস্তই বুঝিতে

やが強