পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-কমালি পারিয়াছিল। কিন্তু সে কি করিবে? তাহার মনের দুঃখ, ক্ষোভ ও ঘৃণা সে মনেই দমন করিত এবং অবকাশ-সময়ে বাড়ীতে না আসিলে পিতা দুঃখিত হন, এই জন্যই অল্প কয়েক দিনের জন্য আসিত ; কিন্তু বাড়ীতে তাহার মন টিকিত না ; সে তাহার দাদার আদেশেই নিজেকে গঠিত করিয়া তুলিতেছিল। পূৰ্ব্ব পরিচ্ছেদে যে দিনের কথা বলা হইয়াছে, সেই দিন অপরাহুকালে খুড়ামহাশয়ের আহবানে সিদ্ধেশ্বর সাত-আনির বাড়ীতে আসিতেছিলেন। ঘাট পার হইয়াই দেখেন, হরিহর বাগানের মধ্যে ভ্রমণ করিতেছে । হরিচর সিদ্ধেশ্বরের আগমন জানিতে পারে নাই দেখিয়া, সিদ্ধেশ্বর তাহাকে ডাকিলেন। দাদার ডাক শুনিয়াই হরিহর ফিরিয়া দেখে তাহার দাদা বৈঠকখানার সম্মুখে দাড়াইয়া রহিয়াছেন। সে তখন তাড়াতাড়ি সিদ্ধেশ্বরের নিকট আসিয়া বলিল “কি, দাদা যে আজ এদিকে বেড়াতে এসেছ ?” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “ঠিক বেড়াতে নয়, কাকাবাবু ডেকে পাঠিয়েছেন।” “বাবা ডেকেছেন । কেন ? কিসের জন্ত ?” “তা ত কিছু ব’লে পাঠান নেই, সুধু বলেছেন আজ বিকেলে যেন একবার অবশু, তার সঙ্গে দেথা করি। মনিপুরের একটা বিষয় নিয়ে মামলা হচ্ছে ; সেদিন আদালতে মামলা উঠেছিল ; তাতে কাকাবাবুর পক্ষ থেকে দিন নেওয়া হয়েছে ; আপোষে মিটমাট হবার সম্ভাবনা আছে, এই কথাই তারা বলেছেন। বোধ হয় সেই আপোষের কথা বলবার জন্যই আমাকে ডেকে পাঠিয়ে هويا