পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তমালি “কেন বাইনে তা বলব। তুমি শুনেছি সব সময় লেখাপড়া নিয়ে থাক, আমি গিয়ে তোমার বেদ-বেদান্তের মধ্যে একটা গোল পাকিয়ে তুলতে ভয় পাই। তাই যেতে পারিনে।” এই বলিয়৷ হরিহর সিদ্ধেশ্বরকে টানিয়া লইয়া ঘাসের মাঠের পাশ্বে একখানি বেঞ্চে বসাইল । সিদ্ধেশ্বর বসিয়া বলিলেন “এখন বল তোর যত কথা আছে।” হরিহর বলিল “হ্যা, একটা কথা মনে পড়েছে। দেখ দাদা, কা’ল আমি আমাদের চ্যারিটেবল ডিস্পেন্সেরটা দেখতে গিয়েছিলাম। ভারি বেবন্দোবস্ত দাদা ! বাবা সময় পান না, তোমারও মনোযোগ নেই। ওটা একটা বার-ভূতের কাও হয়েছে। ওষুদপত্রের জন্ত তোমরা দুই সরিকে ষে টাকা দেও, তা যথেষ্ট। কিন্তু কেউ ত দেখে না ; সে সব ওষুদ উড়ে যায়। আমি বলি কি, তোমরা ডিস্পেন্সেরটার উন্নতি কর। এই ত মামলা-মোকদমায় কত টাকা খরচ করছ ; তখন আর কোন ওজর হয় না। আমি বলি কি, একজন ভাল দেখে এসিষ্টাণ্ট সার্জন নিযুক্ত কর; আর ‘আপ-টু-ডেট যন্ত্রপাতি সব নিয়ে এস। সেই যে মান্ধাতার আমলের কুইনিন-মিক্সচার, আর ডায়েরিয়া পিল, তাতে আর এখন চলে না। আমি অবশু ঠিক বলতে পারিনে, আমার মনে হয়, তোমরা দুই সরিকে যদি হাজার তিনেক টাকা দেও, তা হোলেই মোটামুটি যন্ত্রপাতি আসতে পারে। আর একজন এসিষ্টান্স সার্জনের মাইনে এই কত আর—ধর দেড়শো টাকা। তাকে যদি ‘আউট-প্র্যাকটিস করতে দেওয়া যায়, তা হলে