{ ষোল-অমালি ঠিক ধরেছিস। ঐ রকম একটা অন্তায় ভাব আমার মনে আসে বই কি। আজ তোর কাছে আমি অপরাধ স্বীকার করছি। এটা সত্যই আমার দুর্বলতা। আমি এটা দূর করব। এখন থেকে আমি তোকে ‘তুই’ বলব ; আমি ভুলে যাব, আমি নয়-আনি, আর তুই সাত-আনি।” 登 হরিহর সিদ্ধেশ্বরের বাছপাশ ছিন্ন করিয়া উঠিয় দাড়াইয়া বলিল “আর শোন দাদা, আমিও তোমার সম্মুখে বলছি, আমার হাতে যখন এই জমিদারীর ভার আসবে, তখন আমি এই নয়-আনি সাতআনির বেড়া ভেঙ্গে দেব। তখন আবার সেই অনেকদিন আগের মত দেবীপুরের জমিদারী ষোল-আনি হবে, আর তুমি তার একমাত্র কৰ্ত্ত হবে ; আর আমি তোমার পায়ের কাছে বসে শিক্ষা ત્રિ-નિરી মানুষ হওয়া যায়। এ কি হ’তে পারে না দাদা ! এ কি হবে না ?” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “ভাই, তুই ছেলেমানুষ ; তোর প্রাণ এখন উন্নত ; তাই তুই এ সব কথা বলছিস্ । কিন্তু যখন এই জমিদারী তোর হাতে এসে পড়বে, তখন ভগবান না করুন, তোর হয় ত মন বদলে স্থাবে। এই তুই ত একটু আগেই বললি, তুই দেবীপুরের জমিদার হবার উপযুক্ত ব্যক্তি, আর আমি পাড়াগায়ের স্কুল-মাষ্টার হবার যোগ্য ।” o * হরিহর বলিল “ন, ন, তুমি তামাসা রাখ। তুমি ঠিক বলত, কি করলে নয়-আনি সাত-আনি পৃথক থাকে না।” সিদ্ধেশ্বর হাসিয়া বলিলেন “একটা উপায় আছে এবং সেইটাই १२
পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।