পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তমালি সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “আপনাকে আর খবর দিয়ে বিরক্ত করি নাই ; হরিহরের সঙ্গে বাগানে ব’সে গল্প করছিলাম।” মনোহর বাবু বলিলেন “বেশ, বেশ, দাড়িয়ে কেন, বোস বাবা । হরিহর তুমিও বোসো, যেও না । তোমরা দুই ভাই-ই এখন উপযুক্ত হয়েছ, তোমরা যদি সব দেখেশুনে কর, তা হ’লে ত আমি বাচি ।” *. সিদ্ধেশ্বর ও হরিহর এক পাশ্বে উপবেশন করিলে, মনোহর বাবু বলিলেন “তোমার শরীর ভাল আছে ত বাবা ! সুবর্ণপুর থেকে ফিরে আসার পরে এ কয়দিন দেখাই হয় নাই ; নানা কাজে অবসর করে উঠতে পারিনে। তাই আজ তোমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম।” - সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “শরীর ভালই আছে । আপনি এখন কেমন আছেন । সে বেদনাট ত আর বুঝতে পারছেন না ?” মনোহর বাবু বলিলেন “আমার আর শরীর ! বুড়ো মানুষ, এখন গেলেই হয়। তোমাদের রেখে যেতে পারলেই বাচি ।” পীতাম্বর কি এমন সময় কথা না বলিয়া পারে ; সে বলিল “কৰ্ত্তার ঐ এক কথা ! এমন কি বয়স হয়েছে যে, ও সব অলক্ষুণে কথা মুখে আনেন। শত বৎসর পরমাৰু হোক ৷” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “ঘটক মশাই ঠিক বলেছেন। কাকা-বাবুর বয়স আর এমন কি হয়েছে। সাহেৰেরা যে এই বয়সে বিবাহ করে ঘর-সংসার আরম্ভ করে—এই বয়সেই তারা প্রকৃতপক্ষে কাজ আরম্ভ করে থাকে ” ?やり