ষোল-অমানি করে বলতে পার ? তোমারমী-নিতান্ত অবিবেচনার কাজ করে ছেন। বলে না, স্ত্রীবুদ্ধি প্রলয়ঙ্করী ! তোমার মায়েরও তাই হয়েছে ! আমার পরামর্শ শোন বাবা ; সেই কুলটাকে এখনই বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দাও গে। আগুণ আর ঘি একসঙ্গে কথন রাখতে নেই—এ শাস্ত্র-বচন—অকাট্য ।” সিদ্ধেশ্বর এতক্ষণ চুপ করিয়া ছিলেন ; কিন্তু এখন তাহাকে কথা বলিতে হইল। তিনি বিনীত ভাবে বলিলেন “মুবর্ণপুরের গোরাচাদ মুখুয্যের স্ত্রী যে অবস্তায় পড়েছিলেন, তার উপর যেরূপ অমানুষিক অত্যাচার হয়েছিল, তা শুনলে কাকা-বাবু, আপনার হৃদয় গলে যাবে। তিনি অতি সচ্চরিত্রা ; তার পাষণ্ড অভিভাবক, দুর-সম্পর্কের দেবর তার উপর পশুর মত অত্যাচায় করেছিল। সুবর্ণপুরের ব্রাহ্মণের তাকে পথের ভিখারিণী করবার ব্যবস্থা করেছিল। এই দেখে মা তাকে আর তার মেয়েকে আশ্রয় দিয়ে এখানে নিয়ে এসেছেন। আমি যতদূর শুনেছি, তাতে গোরাচাঁদ মুখুয্যের বিধবা পত্নী অতি সচ্চরিত্র, একেবারে দেবী বললেই হয়। আপনি যদি তাকে একবার দেখেন, তার মলিন মুখ দেখে আপনি নিশ্চয়ই কাতর না হয়ে থাকতে পারবেন না। তিনি সেই অত্যাচারের পর আত্মহত্য করতে গিয়েছিলেন, মা তাকে সে কাজ থেকে নিবৃত্ত করে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।” মনোহর বাবু বলিলেন, “আমার কাছে কিন্তু অন্ত রকম রিপোট এসেছে। ও স্ত্রীলোকটীয় অভিভাবক কালাচাদ মুখুয্যে আমাকে যে পত্র লিখেছে, এই সেই পত্র । তোমাকে সেই পত্র bre .
পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।