ষ্ট্যালিন
একটা বিচ্ছিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং এই সুবিধাভোগী শ্রেণী তাহাদের মধ্যে নূতন সদস্যদিগকে লইতে চাহে না, যাহারা মনে করে প্রবীণেরা অতীতের রক্ষকশ্রেণী এক প্রকার কর্ম্মচারী এবং পার্টির অন্যান্য সদস্য ইহাদের দৃষ্টিতে নিম্নশ্রেণীর, তাহারাই প্রবীন ও পার্টির যুবকদের মধ্যে ভেদ ঘটাইতে চায়, তাহারাই গণতন্ত্রের সমস্যাকে প্রবীন ও নবীনের সমস্য করিতে চায়। গণতন্ত্রের মূলকথা নবীন ও প্রবীন নহে, পার্টির নেতৃত্বে, পরিচালনায় প্রত্যেক পার্টি-সদস্যের স্বাধীনভাবে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করাই গণতন্ত্র। এইভাবে, কেবলমাত্র এই ভাবেই গণতন্ত্রকে বিচার করা যায়, আমরা মামুলী গণতান্ত্রিক দলের কথা বলিতেছি না, আমাদের পার্টি জনগণের পার্টি, যাহা শ্রমিকশ্রেণীর সহিত অচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ।”
ট্রট্স্কি নিরস্ত হইলেন না, তিনি প্রকাশ্যে সংবাদপত্রে প্রবন্ধ লিখিয়া পার্টির সমালোচনা করিতে লাগিলেন। একটি দেশে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সম্ভবপর নহে, বৈপ্লবিক নেতৃত্ব দ্বারা আন্তর্জাতিক বিপ্লব পরিচালন করিতে হইবে, এই শ্রেণীর প্রশ্ন তুলিয়া পার্টির মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্ট চলিল। ১৯২৫-র ডিসেম্বর মাসে বলশেভিক পার্টির চতুর্দ্দশ কংগ্রেসে একটা সুগঠিত বিরুদ্ধবাদী দলের নেতারূপে ট্রট্স্কি, জিনোভিফ ও কামেনষ বৈপ্লবিক নেতৃত্বের প্রশ্ন তুলিলেন। কৃষক বা জনসাধারণের দ্বারা বৈপ্লবিক সমাজতন্ত্রবাদ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নহে, সোভিয়েটের গঠনমূলক কাজ সমাজতান্ত্রিক আদর্শ ভ্রষ্ট হইয়া যাইতেছে, এই শ্রেণীর ভেদ সৃষ্টি করিবার উদ্যমকে বাধা দিয়া ষ্ট্যালিন বলিলেন, “সম্মিলিত শ্রম, সম্মিলিত নেতৃত্ব, সঙ্ঘবদ্ধ সংগ্রাম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ঐক্য প্রথমে প্রয়োজন।”
জনসাধারণের শক্তি ও সদিচ্ছায় অবিশ্বাস, তাহাদিগকে পীড়ন করিয়া
১০০