ষ্ট্যালিন
১৯১৩ সালে রেলপথের দৈর্ঘ্য ছিল ৩৬,৫০০ মাইল, ১৯২৭ খৃষ্টাব্দে তাহা বাড়িয়া ৪৮,২০০ মাইল হইল। শ্রমিকদের উপার্জন প্রায় শতকরা ১৭ ভাগ বাড়িল। শিক্ষা বিভাগের বিস্তার হইল বিস্ময়কর। ১৯২৫ সালে সোভিয়েট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯১৩ সাল অপেক্ষা ২২ লক্ষ ৫০ হাজার অধিক ছাত্র দেখা গেল। বহু কারিগরি শিক্ষার বিদ্যালয় স্থাপিত হইল। কলকারখানা ও যন্ত্রশক্তিতে সোভিয়েট রাশিয়া আমেরিকা, ইংলণ্ড, জার্ম্মণী এবং ফ্রান্সের পরেই স্থান লাভ করিল। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিক দিয়া বিচার করিলে ১৯২৭ সালে দেখা যায় কলকারখানা ও বাণিজ্যের শতকরা ১৪ ভাগ ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত এবং ৭৭ ভাগ সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ও অবশিষ্ট সমবায়নীতিতে পরিচালিত। কৃষিকার্য্যের শতকরা পৌনে তিনভাগ সমাজতান্ত্রিক এবং শতকরা ৯৭ ভাগ কৃষকদের ব্যক্তিগত অধিকারে ছিল। আভ্যন্তরীন ব্যবসায়ের শতকরা প্রায় ৮২ ভাগ সমাজতান্ত্রিক এবং মাত্র ১৮ ভাগ ব্যক্তিগত।
১৯২৭-র পর হইতে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা লইয়া সোভিয়েট রাশিয়া কৃষির উন্নতিতে মনোনিবেশ করিল।
রাশিয়ায় কম্যুনিষ্টপার্টির বিরুদ্ধ দল ১৯২৬ খৃষ্টাব্দে প্রবল হইয়া উঠে। এই সময় চপলমতি জিনোভিফ ও কামেনফও ট্রট্স্কির সহিত যোগ দেন। এই বিরুদ্ধতা কেবল রাশিয়ার দলের বিরুদ্ধে নহে, সমগ্র সাম্যবাদী আন্তর্জ্জাতিক দলের বিরুদ্ধেই আত্মপ্রকাশ করিয়াছিল। ইহার গোপন ষড়যন্ত্র এবং আক্রমণের অধিকাংশই ষ্ট্যালিনকে সহা করিতে হয়, কেননা সাম্যবাদী দলের সংখ্যাগরিষ্ঠদের তিনিই নেতা ছিলেন। ইহাকে ষ্ট্যালিন-ট্রট্স্কির ব্যক্তিগত কলহরূপে কেহ কেহ
১০৪