ষ্ট্যালিন
আলোচনায় প্রবৃত্ত না হয়। প্রত্যেক আলোচনাই দলের সমস্ত সদস্যের নিকট উন্মুক্ত থাকিবে।” কিন্তু ট্রট্স্কি এই সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করিয়া সোভিয়েট যুক্তরাষ্ট্রের শাসনপদ্ধতি এবং আন্তর্জ্জাতিক সাম্যবাদী সঙ্ঘের কার্য্যে বিঘ্ন উৎপাদন করিতে লাগিলেন। বাহির হইতে দেখিলে ইহা সমাজতান্ত্রিক শাসনপদ্ধতির পরিবর্ত্তে নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্ত্তনের চেষ্টা বলিয়া বোধ হয়। কতকাংশে ইহা সত্য। ধনতান্ত্রিক জগতের কেন্দ্রস্থলে প্রকৃত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শক্তি ও স্থায়িত্ব সম্বন্ধে তাঁহারা সন্দিহান ছিলেন। তাঁহারা বিশ্বাস করিতেন না যে অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল অবস্থার কৃষকদিগকে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে আনা সম্ভব হইবে। তাহার উপর রাষ্ট্রচালিত কলকারখানাকে তাঁহারা মূলতঃ ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালিত কলকারখানার ব্যবস্থার অনুরূপ বলিয়া সমালোচনা করিতে লাগিলেন। দলের মধ্যে উপদল গঠন করিয়া জিনোভিফ, কামেনফ এবং ট্রট্স্কি দীর্ঘকাল হইতেই একটা “বিরুদ্ধদল” সৃষ্টির চেষ্টা করিতেছিলেন। লেনিনের জীবিতকালেও তাঁহারা এই বিরুদ্ধতা দেখাইয়াছেন। এখন ষ্ট্যালিনকেও উপলক্ষ করিয়া তাঁহারা “লেনিনবাদের পবিত্রতা” রক্ষার জন্য আসলে পার্টির শক্তিকে ভিতর হইতে বিশ্লিষ্ট করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন।
ষ্ট্যালিন একদিন দলের সভায় বিতর্কের উত্তরে বলিলেন, “কমরেড ট্রট্স্কি তাঁহার বক্তৃতায় প্রসঙ্গতঃ বলিয়াছেন যে “কার্য্যক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জ্জাতিক অর্থনীতিদ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইব। ইহা কি সত্য? না!, উই| পুঁজিবাদী হাঙ্গরগণের স্বপ্ন হইতে পারে, কিন্তু সত্য নহে।” ষ্ট্যালিন দেখাইলেন যে অর্থনীতিক দিক হইতে কি সোভিয়েট ব্যাঙ্ক গুলির উপর, কি কলকারখানার উপর, কি বৈদেশিক বাণিজ্যের উপর,
১০৭