ষ্ট্যালিন
ঐরূপ কোন প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা নাই, কেনন। এইগুলি পূর্ব্ব হইতে জাতীয় সম্পদে পরিণত করা হইয়াছে। অতএব কমরেড্ ট্রট্স্কি কথিত “নিয়ন্ত্রণ” শব্দটীর রাজনীতির দিক দিয়াও কোন বাস্তব অস্তিত্ব নাই।
পঞ্চদশ কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় শক্তির বিরুদ্ধে রাজনীতিক ষড়যন্ত্রের বিশেষ বিবরণ পেশ করা হইল। দেখা গেল ট্রট্স্কি এবং তাঁহার অনুচরগণ কেন্দ্রীয় সমিতির মধ্যে স্বতন্ত্র দল গড়িয়াছেন, জিলা ও সহরগুলিতে শাখা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, স্বতন্ত্র ধনভাণ্ডার এবং গোপন ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। তৃতীয় আন্তর্জ্জাতিকের পরিবর্ত্তে এই নূতন দলের নিয়ন্ত্রনাধীনে আর একটা আন্তর্জ্জাতিক সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলিতেছে। পঞ্চদশ কংগ্রেস ট্রট্স্কিকে এই সকল সমিতি-সঙ্ঘ ভাঙ্গিয়া দিবার জন্য অনুরোধ করিল এবং বলশেভিক দলের ক্রমাগত বিরুদ্ধতার পরিবর্ত্তে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নির্দ্দেশ মানিয়া চলিবার জন্য অনুরোধ করিল। কিন্তু মিলনের আগ্রহ না দেখাইয়া একশ একুশ জন ট্রট্স্কি-পন্থী পাল্টা প্রস্তাব করিয়া স্বাতন্ত্রের দাবী উপস্থিত করিলেন। ফলে ট্রট্স্কি ও তাঁহার সহকর্ম্মীরা দল হইতে বহিষ্কৃত হইলেন। এই বহিষ্কারের পরও তাঁহাদিগকে ব্যক্তিগত ভাবে দলে ফিরিয়া আসিবার জন্য দরজা খোলা রাখা হইল। জিনোভিফ, কামেনফ, রাডেক, রক্ভস্কি ভুল স্বীকার করিয়া দলে ফিরিয়া আসিলেন। কিন্তু উচ্চাভিলাষী ট্রট্স্কি তাঁহার জনপ্রিয়তা লইয়া ষ্ট্যালিনের বিরুদ্ধে প্রচার কার্য চালাইতে লাগিলেন। কিন্তু তাহা সাফল্যলাভ করিল না দেখিয়া ট্রট্স্কি ষ্ট্যালিনের সহিত সন্ধির জন্য লালায়িত হইলেন। কিন্তু উহা কৌশল মাত্র। কেন্দ্রীয় কমিটি ট্রট্স্কিকে মধ্য এশিয়ায় প্রেরণ করিলেন। ১৯২৮ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে ট্রট্স্কি
১০৮