ষ্ট্যালিন
উৎসাহ ও নির্দ্দেশে বৈদ্যুতিক শক্তি প্রবাহ-সৃষ্টির যে সকল কেন্দ্র স্থাপিত হইয়াছিল তাহাকে কলকারখানার উন্নতির কাজে লাগান হইল। যন্ত্রশক্তিতে অনগ্রসর রাশিয়া তাহার নেতা ষ্ট্যালিনের কণ্ঠে শুনিল, “আমরা পশ্চাৎপদ রাশিয়াকে যন্ত্রশক্তিতে সমুন্নত আধুনিক দেশে পরিণত করিতে চাই, কোন পণ্যের জন্য আমরা ধনতান্ত্রিক দেশগুলির মুখাপেক্ষী হইব না। সোভিয়েটের শক্তিকে এমন ভাবে সংহত করিতে হইবে যাহাতে সমাজতন্ত্রবাদ বিজয়ী হয়। জোতদার (কুলাক) শ্রেণীকে বিলুপ্ত করিতে হইবে, ব্যক্তিগত কৃষিক্ষেত্রের পরিবর্ত্তে সমষ্টি-চালিত কৃষিকার্য্যের ব্যবস্থা করিতে হইবে” এবং এই বৃহৎ ও বিরাট নির্ম্মাণ-কার্য্য বৈদেশিক মূলধনের সহায়তা ব্যতীতই সম্ভবপর হইয়াছিল। ১৯৩২ সালে যখন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সাফল্য ঘোষিত হইল, তখন ইংলণ্ড, আমেরিকা, ইতালী প্রভৃতি দেশের কাগজে ঘোষিত হইতে লাগিল—পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হইয়াছে, সোভিয়েট অর্থনীতি দেউলিয়া হইয়াছে। পরাজিত কম্যুনিষ্ট পার্টি আর অধিকদিন রাশিয়ার কর্তৃ্তত্ব করিতে পারিবে না। সমস্ত শাসনব্যবস্থা ভাঙ্গিয়া পড়িবার দিন নিকটবর্ত্তী। এই সকল বিরুদ্ধ. প্রচারকার্য্য স্বাভাবিক, কেননা ঐ সকল দেশের শ্রমিক-শ্রেণীকে রাশিয়ার উন্নতির সত্য সংবাদ না জানিতে দেওয়ার মধ্যে পুঁজিবাদীদের স্বার্থ জড়িত।
১৯২৮-র পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চার বৎসরেই গড়পড়তা ৯৩ ভাগ সাফল্য অর্জ্জন করিল। জাতীয় উৎপন্ন পণ্য ১৯২৮ হইতে ১৯৩৪-এ তিনগুণ হইল। মহাযুদ্ধের পূর্ব্ববর্ত্তী অঙ্কের সহিত তুলনায় ১৯৩৩-র উৎপাদন চতুর্গুণ হইল। ১৯২৮-এ শ্রমিক-সংখ্যা ছিল ৯৫ লক্ষ, ১৯৩২-এ আসিয়া দাঁড়াইল ১ কোটী ৩৮ লক্ষে। ইহার মধ্যে প্রধান
১১১