ষ্ট্যালিন
শাসনকার্য্য পরিচালনা করিতে পারিতেছিল না এবং বুর্জ্জোয়া গণতন্ত্র এই অক্ষমতা ঢাকিবার জন্য আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সন্ত্রাসবাদী উপায় অবলম্বন করিয়াছিল।”
এই সন্ত্রাসবাদের সূত্র ধরিয়াই জার্ম্মান নাৎসীরা তাহাদের ঝটিকাবাহিনী লইয়া দেশময় ভীতির বিভীষিকা সৃষ্টি করিল। গুপ্তহত্যা, ভদ্রব্যক্তিদের অতর্কিত লাঞ্ছনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হইয়া উঠিল। পুলিশ এই অরাজক অত্যাচার দমন করিবার কোন উৎসাহ দেখাইল না। সাহস পাইয়া নাৎসীরা রাইক্ষ্ট্যাগ গৃহ দগ্ধ করিল, শ্রমিক সঙ্ঘগুলি দমন করিবার জন্য বর্ব্বর অত্যাচার শুরু করিল, অবশেষে বুর্জ্জোয়া গণতান্ত্রিক ব্যক্তিস্বাধীনতা বিলুপ্ত করিল। পররাষ্ট্রনীতিতে তাহারা রাষ্ট্রসঙ্ঘ পরিত্যাগ করিল এবং প্রকাশ্য ভাবে ভার্সাই সন্ধি বাতিল করিবার জন্য এবং ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির ভৌগলিক সীমা জার্ম্মানীর সুবিধামত রদবদল করিবার জন্য যুদ্ধায়োজনে প্রবৃত্ত হইল। এইভাবে ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বীজ রোপিত হইল এবং অতিবিস্ময়কর দ্রুততার সহিত উহা ফলে পুষ্পে সুশোভিত হইল।
স্বাভাবিকরূপেই সোভিয়েট যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় সতর্ক সাবধানতা অবলম্বন করিল এবং পশ্চিম ইউরোপের ঘটনাবলীর প্রতি তীব্র দৃষ্টি রাখিয়া পশ্চিম সীমান্ত সুরক্ষিত করিতে অগ্রসর হইল।
পশ্চিম ইউরোপের তথাকথিত শান্তি ঘোষণা স্বাভাবিকরূপেই সোভিয়েট নেতাগণ সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখিতে লাগিলেন। কিন্তু তাঁহারা পররাষ্ট্র নীতিতে শাস্তির পথ ধরিয়াই চলিলেন। যদি যুদ্ধ আরম্ভ হয় তাহা হইলে তাহা কোন দেশকে অব্যাহতি দিবে না, ইহা বুঝিয়াই সোভিয়েট গভর্নমেণ্ট সমরসজ্জায় মনোনিবেশ করিলেন। যুদ্ধ যেখানে
১২১