ষ্ট্যালিন
করিতেছেন তাঁহারাই কমরেড কিরোভকে হত্যা করিবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।
১৯৩৪ সালের ১লা ডিসেম্বর কমরেড কিরোভ আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। আততায়ী হাতে হাতে ধরা পড়ে। অনুসন্ধানে জানা গেল যে জিনোভিফ-চালিত লেনিনগ্রাডের সোভিয়েট-বিরোধী গুপ্ত ষড়যন্ত্রকারী দলের সদস্য এক যুবক প্ররোচিত হইয়া এই কার্য্য করিয়াছে। কিরোভ দলের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন এবং লেনিনগ্রাডের শ্রমিক শ্রেণী তাঁহাকে শ্রদ্ধা করিত। কিরোভের হত্যাকাণ্ডে রাশিয়ার জনসাধারণের মধ্যে তীব্র রোষের সৃষ্টি হইল। সোভিয়েট পুলিশ ঘটনার সূত্র ধরিয়া অনুসন্ধান করিয়া দেখিলেন, ১৯৩৩ সাল হইতেই প্রতিবিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী দল সাম্যবাদী নেতাদিগকে হত্যার ষড়যন্ত্র করিতেছে। কেবল তাহাই নহে এই দল বৈদেশিক ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হইতে রীতিমত অর্থসাহায্য পাইতেছে। অথচ এই ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের নেতারা নিরীহ ভালমানুষ সাজিয়া কম্যুনিষ্ট পার্টির মধ্যেই রহিয়াছেন। সোভিয়েট রাষ্ট্রের সর্ব্বোচ্চ আদালতে এই সকল সদস্যের প্রকাশ্য বিচার হইল এবং তাহারা চরমদণ্ডে দণ্ডিত হইল।
এই ঘটনার অল্পদিন পরেই “মস্কো কেন্দ্রের প্রতি-বিপ্লবী দলের গুপ্ত প্রতিষ্ঠান” আবিষ্কৃত হইল। প্রাথমিক তদন্ত এবং প্রকাশ্য বিচারে দেখা গেল যে জিনোভিফ, কামেনফ, জেফ্ডোকিমফ্ প্রভৃতি নেতারা তাঁহাদের অনুচরদিগকে কি ভাবে সন্ত্রাসবাদে দীক্ষা দিয়াছিলেন এবং পার্টির কেন্দ্রীয় সমিতির সদস্যদিগকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। অথচ কিরোভের হত্যাকাণ্ডের পর এই জিনোভিফ, কামেনফই বিলাপে পঞ্চমুখ হইয়াছিলেন এবং তীব্র ভাষায় প্রতিশোধ দাবী করিয়াছিলেন।
১২৩