ষ্ট্যালিন
আদালতে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াইয়া জিনোভিফ, কামেনফ তাঁহাদের অপরাধ স্বীকার করিলেন, কিন্তু ট্রট্স্কির সহিত তাঁহাদের যোগাযোগ স্বীকার করিলেন না এবং তাঁহারা যে ফাশিষ্ট দলের গুপ্তকার্য্য করিতেছেন ইহাও গোপন রাখিলেন। কিরোভের হত্যাকাণ্ডের পর এই সকল বিশ্বাসঘাতক নেতার ষড়যন্ত্র আবিষ্কার ও জনসাধারণের নিকট তাহা প্রমাণ করিতে এক বৎসর সময় লাগিয়াছিল। আদালতে যখন প্রামাণ্য দলিলাদি উপস্থিত করা হইল তখন দেখা গেল যে এই ষড়যন্ত্র নেতৃবৃন্দকে হত্যা করিয়া ক্ষমতা অধিকারেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ক্ষমতার লোলুপতা ইহাদিগকে বৈদেশিক গভর্ণমেণ্টর গুপ্তচরে পরিণত করিয়াছিল। এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা ও কৃতঘ্নতা কোন গভর্ণমেণ্টই ক্ষমা বা উপেক্ষা করিতে পারেন না। ১৯৩৬ সালে মস্কো সহরে এই ইতিহাস-স্মরণীয় ষড়যন্ত্র মামলার বিচার হইল। বিচারে প্রমাণ হইল যে উহারা জাপান এবং জার্ম্মান সাম্রাজ্যবাদীদের সহিত গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। মহাযুদ্ধ আরম্ভ হইলেই তাহারা নাংসী ফাশিষ্টদের সহিত যোগ দিয়া সোভিয়েট গভর্ণমেণ্টের পরাজয়ের সহায়তা করিবে।
ষড়যন্ত্রের ব্যাপকতায় ও গভীরতায় কম্যুনিষ্ট পার্টির চমক ভাঙ্গিল। কেন্দ্রীয় কমিটি দলের সমস্ত সঙ্ঘের নিকট কিরোভের হত্যাকাণ্ডের পর এক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিলেন।
(১) “সুবিধাবাদীর মুঢ় সন্তোষ লইয়া যদি আমাদের মধ্যে এইরূপ ভ্রান্ত ধারণা হইয়া থাকে যে আমরা যতই শক্তিশালী হইতেছি আমাদের শত্রুরা ততই নিরীহ ভালমানুষ হইতেছে তাহা হইলে উহা অবিলম্বে পরিহার করা কর্ত্তব্য। এই মতবাদ ভ্রান্ত। আমাদের শত্রুরা ক্রমে ক্রমে সমাজতন্ত্রবাদ দ্বারা প্রভাবান্বিত হইবে এবং পরিণামে খাটি সমাজ-
১২৪