ষ্ট্যালিন
ঐরূপ মনোভাব সম্পন্ন হইয়া উঠিতে লাগিলেন। গণতন্ত্রের ঠাট্ বজায় রাখিয়াও জাতীয় স্বার্থের দিক হইতে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা দেখা দিল এবং ফাশিজম্ সংক্রামক ব্যাধির মত হাঙ্গেরী, পোলাও, বলকান উপদ্বীপ, পর্ত্তুগাল, অষ্ট্রিয়া, স্পেনে ছড়াইয়া পড়িল। জার্ম্মানী ইতালীর নূতন সমাজে দেখা গেল একজনের সর্ব্বনাশ না করিয়া অপরে ধনী হইতে পারেনা এবং বাঁচিবার জন্য অপরকে হত্যা করিতে হইবে এই নীতি প্রবল। ধনী বণিক ও মধ্যশ্রেণীর নির্ব্বোধ ব্যক্তিরা জনসাধারণকে রুদ্ধকণ্ঠ করিয়া তাহাদের সহস্র শিরের উপর হিটলার ও মুসোলিনীর বংশীধ্বনির তালে তালে নৃত্য করিতে লাগিল। স্বাধীন চিন্তাবীরদিগকে নির্ব্বাসিত করা হইল, দুর্ব্বলকে লুণ্ঠন করা চলিতে লাগিল। গভর্ণমেণ্ট জনসাধারণের শত্রু হইয়া উঠিল। বল্টিক হইতে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত ধ্বংসোন্মুখ ও ক্ষয়িষ্ণু ধনতন্ত্রের ভাড়াটিয়া গুণ্ডারা একের পর আর একটা জাতিকে ক্রীতদাসে পরিণত করিয়া ফেলিল। ইতালীতে ইহার প্রথম সূচনা। যে ভাবে শ্রমিক ও বিপ্লবী দিগকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হইয়াছিল এবং নিষ্ঠুর পীড়ন করা হইয়াছিল তাহা মানুষের কল্পনায় আসেনা। মধ্যযুগীয় বর্ব্বরতার ইতিহাস ইতালীর ফাশিষ্ট দলের ভীতির রাজত্বের নিকট ম্লান হইয়া গেল। কারাগার ও বন্দীশালায় সহস্র সহস্র শিক্ষিত স্বাধীনচেতা যুবক রোগে অপমানে ও অসহ্য দৈহিক পীড়নে মৃত্যুমুখে পতিত হইল। তাহাদের আর্ত্ত ক্রন্দন মুসোলিনীর বজ্র নির্ঘোষে ডুবিয়া গেল। মনুষ্যত্ব ও সমাজের প্রতি কৃতঘ্নতার উপর প্রতিষ্ঠিত ইতালীর ফাশিষ্ট রাজত্বের মহিমা তথাকথিত গণতন্ত্রনিষ্ঠ লেখকেরাও রটাইতে কলুর করিলেন না। জার্ম্মানীতেও স্বস্তিক পতাকাবাহী গুণ্ডার দল অনুরূপ উপায়ে ভীতির
১৩৩