ষ্ট্যালিন
বিস্ময়কর উন্নতির ফলে ইহারা হয় পরস্পরকে ভয় করিয়া চলিবে নয় একটা সাধারণ ধ্বংস ডাকিয়া আনিবে। ইহাদের পরস্পরের মধ্যে পরজাতিবিদ্বেষ ও লাভের লোভ ব্যতীত আর কোন প্রকার ঐক্যই সম্ভব নহে। মনুষ্য জাতিকে সব দিক দিয়া পদানত করিবার এমন বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা পূর্ব্বে আর কুত্রাপি হয় নাই। অন্যদিকে সোভিয়েট পরিকল্পনা সর্ব্বমানবের কল্যাণকে লক্ষ্য করিয়া বাস্তব রূপ পরিগ্রহ করিতেছে। বর্ত্তমান আন্তর্জ্জাতিক সঙ্কটের ইহাই একমাত্র সম্ভবপর সমাধান। সোভিয়েট সমাজে প্রত্যেকে পরস্পরের উপর নির্ভরশীল অথচ নিষ্ঠুর প্রতিযোগিতামূলক জীবন যাত্রায় তাহাদের শ্রম ও শক্তির অপচয় হয় না। সেখানে মানুষের উপর প্রভু নাই, সম্পত্তিশালী লোক নাই, পরশ্রম নির্ভর, পরবিত্তাপহারী দালাল এবং ধনতান্ত্রিক প্রতারকগণ নাই। প্রাচীন ব্যবস্থার জরাজীর্ণ দুর্নীতি এখানে নাই। অধিকাংশ মানুষের অসন্তোষপুর্ণ জীবনের গ্লানি যে সকল দেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সর্ব্বদা শঙ্কাতুর করিয়া রাখে, সেখানে সমাজতন্ত্রবাদের প্রতিষ্ঠা ব্যতীত আর কোন উপায়েই সমাজের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব পর নহে। এই কারণেই বৈপ্লবিক শক্তিগুলি ক্রমেই বর্দ্ধিত হইতেছে এবং সমাজতান্ত্রিক সংঘর্ষের মধ্যে সম্মিলিত হইয়া সার্থকতার পথ অন্বেষণ করিতেছে। শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ বামপন্থী দলগুলি এবং কৃষক ও নিম্ন মধ্যশ্রেণীর সত্ত্ব স্বামিত্বহীন জনসমষ্টি ক্রমে ঐদিকেই ঝুকিয়া পড়িতেছে।
যুদ্ধ ও ফাশিজমের বিরুদ্ধে প্রচারকার্য্য সকল দেশেই বামপন্থীরা আশু কর্ত্তব্য হিসাবে নির্দ্দেশ করিয়াছিলেন। ১৯৩২ সালের এমাষ্টার্ডম কংগ্রেস এবং ১৯৩৩-এ পারী কংগ্রেসে এই আন্তর্জ্জতিক ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের বাণী স্পষ্টরূপে ঘোষিত হইয়াছিল। তাহার উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধকে
১৩৫