ষ্ট্যালিন
সম্ভব হইতে না দেওয়া এবং ফাশিজম্কে দমন করা। সর্ব্বদেশের শোষিত ও নির্য্যাতিত জনসাধারণকে ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামে উৎসাহ দেওয়া। সর্ব্বদেশের অগ্রগামী রাজনৈতিক দলগুলি এই আদর্শবাদে অনুপ্রাণিত হইয়া আন্দোলন আরম্ভ করিল। অন্যদিকে ফাশিষ্টপন্থী প্রতিবিপ্লবীরা সাম্যবাদ ও সমাজতন্ত্রের ভয় দেখাইয়া মধ্যশ্রেণীর শ্রুতিসুখকর প্রচার কার্য্য করিতে লাগিল। সংবাদপত্রে, বেতারে, পুঁথি পুস্তকে কম্যুনিষ্টদের বিরুদ্ধে অতি জঘন্য মিথ্যা ফাশিষ্ট দেশগুলি হইতে প্রচারিত হইতে লাগিল। গণতন্ত্রী দেশগুলিতেও ফাশিষ্ট চরেরা বৃহৎ কারবারের মালিকদের পক্ষপাতপুষ্ট হইয়া সাম্যবাদ দলনের প্রচার কার্য্য করিতে লাগিল এবং ইহা আংশিক ভাবে সকল দেশেই প্রবর্ত্তত হইল।
সকল মানুষের বুদ্ধি ও হৃদয় একই ছাঁচে ঢালা। কাজেই ভালমন্দ বুঝিবার কিছু তারতম্য থাকিলেও মোটামুটি ভাবে মানুষ শান্তিতে থাকিতে চায়। বর্ত্তমান জগতে মানুষ পরস্পরের সহিত মিলিত হইয়া থাকিবে, না সংগ্রামশীল হিংস্র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত আদিম যুগে ফিরিয়া যাইবে ইহাই সমস্যা। রাশিয়ায় জনসাধারণ এই সমস্যা সমাধানের ভার বহুপূর্ব্বেই গ্রহণ করিয়াছিল এবং অল্পদিনের মধ্যে সমাজতন্ত্রবাদ যে বিস্ময়কর উন্নতি করিয়াছে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সাফল্যের পর সে সম্বন্ধে আর কোন সন্দেহ রহিল না।
সোভিয়েট সমাজতান্ত্রিক শাসন পদ্ধতি কেবল যে মানবের সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করিয়াছে তাহা নহে, লোক ব্যবহারে বহু সৎনীতির প্রতিষ্ঠা করিয়াছে। অপরাধ প্রবণতা ও অপরাধীর সংখ্যা কমিয়াছে। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির সুবিধার অভাবে জালিয়াত, প্রবঞ্চক, মিথ্যাভাষীদের সংখ্যা হ্রাস পাইয়াছে। মুসোলিনী শাসিত ইতালী অথবা নাৎসী পদদলিত
১৩৬