এক বিশেষ অধিবেশন হইল। ১৯২৪-এর শাসনতন্ত্রকে প্রস্তাবিত নূতন শাসনতন্ত্র কোন্ কোন্ অংশে সংস্কার ও পরিবর্ত্তন করিয়াছে ষ্ট্যালিন তাহা একের পর আর বিশ্লেষণ করিয়া প্রতিনিধিবর্গকে বুঝাইয়া দিলেন। সোভিয়েটতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সূচনায় নূতন অর্থনৈতিক নীতির দিকে লক্ষ্য রাখিয়া ১৯২৪-এর শাসনতন্ত্র প্রবর্ত্তিত হইয়াছিল। তখন সোভিয়েট গভর্ণমেণ্ট সমাজতান্ত্রিক উন্নতির পাশাপাশি সীমাবদ্ধভাবে ব্যক্তিগত মূলধন খাটাইবার অনুমতিও দিয়াছিলেন। সোভিয়েট গভর্ণমেণ্টের পরিকল্পনা ছিল যে ঐ দুইটী পদ্ধতি পাশাপাশি চলিবে এবং ক্রমে অর্থনীতি ক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা জয়ী হইবে। অবশ্য জয় পরাজয়ের এই প্রশ্ন তখনও মীমাংসা হয় নাই। কারখানাগুলি পুরাতন ও অপ্রচুর সরঞ্জামাদি লইয়া তখনও অনেক পশ্চাতে পড়িয়া ছিল। কৃষিব্যবস্থা আরও শোচনীয় ছিল। ব্যক্তিগত কৃষিক্ষেত্রের বিরাট সমুদ্রের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক কৃষিক্ষেত্রগুলি ছিল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপের মত। তখন কুলাক বা জোতদার শ্রেণীকে সংযত রাখাই ছিল লক্ষ্য, উচ্ছেদ করা নহে। সমগ্র দেশের বাণিজ্যের শতকরা ৫০ ভাগ মাত্র তখন সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার আয়ত্বে আসিয়াছিল।
১৯৩৬ সালে সোভিয়েট রাশিয়ায় এক সম্পূর্ণ পরিবর্ত্তিত চিত্র উদ্ঘাটিত হইল। এই সময়ের মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক জীবনে এক আমূল পরিবর্ত্তন সাধিত হইয়াছে। ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বাদ দিয়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সমস্ত বিভাগে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা জয়ী হইয়াছে। শক্তিশালী নূতন সোভিয়েট কলকারখানা ও শিল্পকেন্দ্রগুলিতে মহাযুদ্ধের পূর্ব্ববর্ত্তী অবস্থার তুলনায় প্রায় সাত গুণ অধিক পণ্য উৎপন্ন হইতেছে। ব্যক্তিবিশেষের স্বার্থে চালিত কারখানা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত