হইয়াছে। উন্নততর যন্ত্রপাতির সাহায্যে সমাজতান্ত্রিক বৃহৎ কৃষিক্ষেত্রগুলি পৃথিবীতে সমবায় পদ্ধতির কৃষিকার্য্যের অভূতপূর্ব সাফল্যের নিদর্শনে পরিণত হইয়াছে। ১৯৩৬ সালে জোতদার শ্রেণী সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হইয়াছিল এবং ব্যক্তিবিশেষ কৃষকের অর্থনৈতিক জীবনে উহাদের কোন প্রভাব ছিল না বললেই চলে। ব্যবসা বাণিজ্য সম্পূর্ণরূপে রাষ্ট্র ও সমবায় বিভাগের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একজনের শ্রমের ফল অপরে বুদ্ধি কৌশলে ভোগ করিবে এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে তিরোহিত হইয়াছিল। পণ্য উৎপাদনের সমস্ত ব্যবস্থা সমাজতান্ত্রিক উপায়ে জনসাধারণের করায়ত্ত। নূতন সমাজতান্ত্রিক সমাজে অর্থনৈতিক সঙ্কট, দারিদ্র্য, বেকার সমস্যা চিরদিনের মত অন্তর্হিত হইয়াছে। সোভিয়েট সমাজের প্রত্যেক নরনারী শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐশ্বর্য্যের সাধারণ সরিক।
ষ্ট্যালিন তাঁহার রিপোর্টে বলিলেন, এই উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সোভিয়েট রাষ্ট্রের জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণীগুলিরও পরিবর্ত্তন হইয়াছে। গৃহযুদ্ধের সময় জমিদার শ্রেণী এবং সাম্রাজ্যবাদের আওতায় পরিপুষ্ট বুর্জ্জোয়া শ্রেণী বিলুপ্ত হইয়াছিল এবং এই কয় বৎসরের সমাজ তান্ত্রিক পুনর্গঠনে সমস্ত শোষক শ্রেণী—পুজিবাদী, ব্যবসায়ী, জোতদার এবং মুনাফাশিকারী—বিলুপ্ত হইয়াছে। শোষক শ্রেণীর যে সামান্য অংশ এখনও কায়ক্লেশে টিকিয়া আছে,অল্পদিনের মধ্যে তাহাদের কোন অস্তিত্ব থাকিবে না।
সোভিয়েট রাশিয়ায় শ্রমিক জনসাধারণ, কলকারখানার মজুর, কৃষক এবং বুদ্ধিজীবিরা সমাজতান্ত্রিক পুনর্গঠনে এক নব জীবন লাভ করিয়াছে।
ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শ্রমিকগণের জন্য উৎপাদনের কারখানাগুলির উপর