পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

কেবল নির্ব্বাচন নহে। ইহা বিশ বৎসরের সাধনায় নবসৃষ্টির বিজয়োৎসব, ইহা সোভিয়েট রাশিয়ার জনসাধারণের পারস্পরিক প্রগাঢ় প্রীতির বার্ত্তা ঘোষণা। ৯ কোটী ৪০ লক্ষ ভোটদাতার মধ্যে ৯ কোটী ১০ লক্ষ, অর্থাৎ শতকরা ৯৬ জনেরও অধিক ব্যক্তি ভোট প্রদান করিল। কম্যুনিষ্ট দল এবং স্বতন্ত্র দলের প্রতিনিধিরা শতকরা ৯৮ টীরও অধিক ভোট পাইলেন। মাত্র ৬ লক্ষ ৩২ হাজার ব্যক্তি সাম্যবাদী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়াছিল। তৎসত্ত্বেও সাম্যবাদী দলের প্রত্যেক নির্ধ্বাচনপ্রার্থী নির্ব্বাচনে জয়ী হইয়াছিলেন। ৯ কোটী লোকের ঐক্যমত সমাজতন্ত্রের এবং বলশেভিক দলের বিজয়কে স্বীকার ও সমর্থন করিল।

 বলশেভিক দলের অর্থাৎ মার্কস্-লেনিন-পন্থী দলের ইতিহাস বিস্ময়কর। এই দল প্রথম হইতেই সমাজ বিপ্লবের পতাকাবাহী এবং জনসাধারণকে বুর্জোয়া শ্রেণীর বিরুদ্ধে সংগ্রামশীল করিয়া তুলিবার দল। সোভিয়েট রাষ্ট্রের বলশেভিক পার্টি সম্পর্কে ষ্ট্যালিন তাঁহার লেনিনিজম্ নামক পুস্তকে লিখিয়াছেন,—“প্রাক-বিপ্লব যুগে অল্পবিস্তর শান্তির সহিতই দল অগ্রসর হইয়াছে। যখন শ্রমিক শ্রেণীর আন্দোলনে দ্বিতীয় আন্তর্জ্জাতিকের প্রাধান্য ছিল তখন প্রধানতঃ আইনসভায় নিয়মতান্ত্রিক সংঘর্ষই মুখ্য কাজ বলিয়া বিবেচিত হইত বিপ্লবের সংগ্রামে দলের যে দৃঢ়তা ও লক্ষ্য সম্বন্ধে সুনির্দ্দিষ্টত। প্রকাশ পায় পূর্ব্বে তাহার অভাব ছিল। দ্বিতীয় আন্তর্জ্জাতিকের বিরুদ্ধে আক্রমনের প্রতিবাদ করিতে যাইয়া কাউট্‌স্কি (জার্ম্মান সাম্যবাদী কিন্তু মহাযুদ্ধের পর দলত্যাগী) বলিয়াছিলেন, “দ্বিতীয় আন্তর্জ্জাতিকের অধীনস্থ দলগুলির লক্ষ্য শান্তি, যুদ্ধ নহে।” এই কারণেই মহাযুদ্ধের সময় তাহারা কোন অগ্রগামী

১৪৭