ষ্ট্যালিন
পদক্ষেপ করিতে পারে নাই এবং জনসাধারণের বিপ্লবমূলক কার্য্যে নেতৃত্ব করিতে পারে নাই। ইহা দুঃখজনক কিন্তু এইরূপই হইয়াছিল। কারণ দ্বিতীয় আন্তর্জ্জাতিকের অন্তর্ভূক্ত দলগুলির জনসাধারণের বৈপ্লবিক সংগ্রাম পরিচালিত করিবার কোন যোগ্যতা ছিল না। তাহারা জনসাধারণের সংগ্রামশীল দল ছিল না। তাহারা শ্রমিকদিগকে সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া শক্তি অর্জ্জনের প্রেরণা দিয়াছিল কিন্তু আসলে তাহাদের শ্রমিক সঙ্ঘগুলি ছিল এক একটী নির্ব্বাচন কেন্দ্র; পার্লামেণ্টারী নির্ব্বাচন এবং পার্লামেণ্টারী নিয়মতান্ত্রিক সংঘর্ষ পরিচালনের যন্ত্র। এই কারণেই দ্বিতীয় আন্তর্জ্জাতিক যখন প্রবল হইল এবং তাহাদের সম্মুখে যখন সুযোগ উপস্থিত হইল তখন দেখা গেল ইহা ঠিক ঠিক একটা দল নহে, কতকগুলি পার্লামেণ্টবিহারী ব্যক্তির সমষ্টি মাত্র এবং ইহাই ছিল জনসাধারণের প্রধান রাজনৈতিক সঙ্ঘ। সেই সময় আরও বোঝা গেল যে ঐ পার্লামেণ্টারী দলের দালাল ও প্রত্যঙ্গ ছাড়া দ্বিতীয় আন্তর্জ্জাতিক আর কিছুই নহে। এই শ্রেণীর দল হাল ধরিলে জনসাধারণকে বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতের প্রশ্নই উঠেন। ইহা বলা বাহুল্য।
“কিন্তু নবযুগের আরম্ভে ঘটনাবলীর পরিবর্ত্তন হইল। শ্রেণী সংগ্রাম শ্রমজীবিদের বিপ্লব এবং এই উদ্দেশ্যে সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করিয়া সাম্রাজ্যবাদের উৎসাদন এবং জনসাধারণের পক্ষ হইতে ক্ষমতা অধিকার—ইহাই হইল নূতন যুগের আদর্শ। নূতন কর্ত্তব্য আসিল। দলকে নূতনভাবে বৈপ্লবিক পন্থায় কাজ করিবার জন্য পুনর্গঠন করিতে হইবে; শ্রমিকদিগকে রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের জন্য বৈপ্লবিক কার্য্য পরিচালনা শিক্ষা দিতে হইবে; সংগ্রামশীল অংশের পশ্চাতে অন্যান্য সর্ব্বহারা শ্রেণীকে প্রস্তুত করিতে হইবে; প্রতিবেশী দেশগুলির জনসাধারণের সহিত দৃঢ় সংযোগ
১৪৮